আপনার বাড়ির দুষ্টু ছেলে বা মেয়েটি ঠিকমতো পড়াশোনা করছে কি না, কী করে লক্ষ রাখবেন? নিজে দেখতে না পারলে বাড়ির লোকজনকে দায়িত্ব দেবেন বা গৃহশিক্ষক রাখবেন। কিন্তু ভাবুন, এদের কাউকেই যদি রাখা সম্ভব না হয় তাহলে? পরীক্ষা করে দেখতে পারেন এ চৈনিক পদ্ধতি। দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের গুইঝোউ প্রদেশের বাসিন্দা জু লিয়াং মেয়ে হোমওয়ার্কে ফাঁকি দিচ্ছে কি না, দেখার জন্য বাড়ির পোষা কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। আর এ কুকুরের কড়া নজরদারি দেখলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। লিয়াং জানান, প্রথমে তিনি বাড়ির পোষা কুকুর ফান্টুয়ানকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেনÑ যাতে খাবার-দাবারে বিড়ালরা মুখ না দেয়। সে কাজ ফান্টুয়ান দায়িত্বের সঙ্গে পালন করত। এরপর এক দিন তিনি লক্ষ করলেন, হোমওয়ার্কের সময় তার মেয়ে জিনিয়া বড্ড দুষ্টুমি করছে। তখন লিয়াং ভাবলেন, যদি ফান্টুয়ানকে দায়িত্ব দেওয়া হয় মেয়ের হোমওয়ার্কের দিকে নজর রাখার জন্য। যেমন ভাবা, তেমন কাজÑ ফান্টুয়ানকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করলেন মেয়ের হোমওয়ার্কের ওপর নজর রাখার জন্য। পড়াশোনার সময় মেয়ে যাতে কোনোভাবেই মোবাইলে ব্যস্ত না হয়ে পড়ে। কাজও দিল লিয়াংয়ের এ পরিকল্পনা।
জিনিয়া এখন হোমওয়ার্ক করতে বসলে পোষ্য ফান্টুয়ান তার পড়ার টেবিলে দুই পা তুলে তীক্ষèদৃষ্টিতে নজর রাখে। কোনোভাবেই জিনিয়াকে মোবাইলে হাত দিতে দেয় না। আর জিনিয়া বলেছে, ফান্টুয়ানের এ ভূমিকায় তার মোটেই অসুবিধা হয় না। বরং হোমওয়ার্কের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ফান্টুয়ান সামনে থাকলে তার মনে হয় একজন সঙ্গী রয়েছে, যেমন কোনো সহপাঠী সঙ্গে থাকলে মনে হয় তেমনই। আনন্দবাজার