আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৫-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে রাঙ্গামাটির লিচু

আলোকিত ডেস্ক
| সুসংবাদ প্রতিদিন

জেলার বাজারে আসতে শুরু করেছে টসটসে রসালো লিচু, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব লিচু যাচ্ছে চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। জেলায় এ বছরও লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। 
এরই মধ্যে বাজারে এসেছে বোম্বে জাতের লিচু। আসতে শুরু করেছে চায়না-২, চায়না-৩ জাতের লিচু। বাজারে চায়না ও বোম্বে জাতের লিচুর চাহিদা বেশি। তাই এসব জাতের লিচু চাষাবাদে ঝুঁকছেন চাষিরা। পাশাপাশি তিন জাতের দেশি লিচু আবাদ হচ্ছে পাহাড়ে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছর জেলায় ১ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হচ্ছে এবং হেক্টরপ্রতি লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা করা হয়েছে সাড়ে আট মেট্রিক টন। রাঙ্গামাটি সদরের বালুখালী, জীবতলী, মগবান, বন্দুকভাঙ্গা, সাপছড়ি, কুতুকছড়ি, কাপ্তাইয়ের নাভাঙ্গা, ওয়াগগা, বড়াদম, রাইখালীসহ জেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় লিচুর ব্যাপক চাষাবাদ হচ্ছে। 
টসটসে রসালো ফরমালিনমুক্ত এ লিচুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় উৎপাদিত লিচু চাষিরা ইঞ্জিনবোটে করে রাঙ্গামাটি শহরের সমতাঘাট, তবলছড়ি, পৌর ট্রাক টার্মিনাল এবং রিজার্ভ বাজারে নিয়ে আসছেন। সেখান থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছেন।
চাষিরা জানান, বোম্বে লিচুর আবাদে পাহাড়ে উচ্চফলন পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি পাহাড়ে চায়না-২ ও চায়না-৩ জাতের লিচুর চাষাবাদ হচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, কয়েক বছর আগেও এখানে রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে লিচু আমদানি হতো। 
বর্তমানে পাহাড়ে উৎপাদিত লিচু বাজারজাত হয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। নানিয়াচর থেকে আসা কৃষক রবি মোহন চাকমা জানান, এ বছর এখনও পর্যন্ত তিনি ১ লাখ টাকার চায়না-২ জাতের লিচু বিক্রি করেছেন। তিনি আশা করছেন আরও ১ লাখ টাকার লিচু বিক্রি করতে পারবেন।
রাঙ্গামাটিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পবন চাকমা বলেন, বিগত দুই বছরের তুলনায় এ বছর জেলায় লিচুর ফলন ভালো হয়েছে। চায়না-২ এবং চায়না-৩ জাতের লিচু বাজারে পুরোদমে আসতে শুরু করলে কৃষক লাভবান হবেন।