আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৫-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

মসজিদে হামলা

শ্রীলঙ্কায় দাঙ্গায় নিহত ১ কারফিউ জারি

আলোকিত ডেস্ক
| প্রথম পাতা

শ্রীলঙ্কার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে দ্বিতীয় দিনের মতো মসজিদ ও মুসলিমদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে; দাঙ্গায় নিহত হয়েছেন একজন। এদিকে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা রুখতে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে শ্রীলঙ্কা পুলিশ। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সংঘাতপূর্ণ প্রদেশটিতে কারফিউ জারি থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার রাতে ৪৫ বছর বয়সি এক মুসলিম কাঠমিস্ত্রিকে তার নিজের কারখানায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে একদল উচ্ছৃঙ্খল দাঙ্গাবাজ। শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই খ্রিস্টান ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। ভয়াবহ ওই হামলায় ২৫৩ জন প্রাণ হারান। রোববার এক ফেইসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সেখানে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়।

উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশের মুসলিম অধ্যুষিত অংশগুলোর বাসিন্দারা জানিয়েছেন, উচ্ছৃঙ্খল জনতা দ্বিতীয় দিনের মতো মসজিদগুলোয় হামলা চালিয়েছে, তাদের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তা-ব চালিয়েছে। প্রতিহিংসার আশঙ্কায় পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে কোট্টামপিটিয়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, কয়েকশ’ দাঙ্গাকারী ছিল, পুলিশ ও সেনাবাহিনী শুধু দেখছিল। তারা আমাদের মসজিদগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে এবং মুসলিমদের মালিকানাধীন বহু দোকান গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে সংঘাতকবলিত এলাকায় সেনা ও পুলিশি টহল জোরালো করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সহিংসতাকবলিত অঞ্চলগুলোর রাস্তায় রাস্তায় নিরাপত্তা বাহিনীর টহল জোরালো করা হয়েছে। মুসলিমরা যেন প্রতিশোধের শিকার না হয়, সে ব্যাপারে নজর রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে দেশের সব মানুষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে গত মাসের ভয়াবহ হামলার তদন্ত কাজ ব্যাহত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। দাঙ্গা-হাঙ্গামা আরও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ আরও কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কার ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার সিংহভাগই বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী। সেখান প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ মুসলিম। গত মাসে স্থানীয় একটি জঙ্গিগোষ্ঠীই শ্রীলঙ্কায় প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। তবে শ্রীলঙ্কায় হামলায় দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বিবিসি