ঈদুল ফিতর উৎসব উপলক্ষে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে বিশেষ সার্ভিসের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেছেন লঞ্চ মালিকরা। কয়েকটি লঞ্চ কোম্পানি আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। অপরদিকে টিকিট বিক্রির আগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রীদের কাছ থেকে চাহিদাপত্র সংগ্রহ শুরু করেছে সুরভী ও সুন্দরবন লঞ্চ কোম্পানি। চলতি মাসের ৩০ অথবা ৩১ তারিখ ঢাকা থেকে এ বিশেষ সার্ভিস শুরু হতে পারে।
অগ্রিম টিকিটের জন্য ১২ মে থেকে যাত্রীদের কাছ থেকে চাহিদাপত্র বা আবেদন সংগ্রহ করছে সুরভী লঞ্চ কোম্পানি। তারা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চাহিদাপত্র গ্রহণ করবেন। এরপর
যাচাই-বাছাই শেষে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বিশেষ সার্ভিসের কেবিন ও সোফার টিকিট যাত্রীদের মাঝে বিতরণ করা হবে। সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু জানিয়েছেন, বরিশাল-ঢাকা নৌরুটের চলাচলরত তাদের তিনটি লঞ্চে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির টিকিট চাহিদা যাত্রীদের কাছ থেকে গ্রহণ করা হচ্ছে। পরে যাচাই-বাছাই করে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যাত্রীদের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে।
অপরদিকে ১১ মে থেকে যাত্রীদের কাছে বিশেষ সার্ভিসের অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেছে অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চ কোম্পানি। সালমা শিপিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস জানান, এমভি কীর্তনখোলা, এমভি মানামী, এমভি টিপু ও গ্রিনলাইনসহ অন্য লঞ্চ কোম্পানিগুলো চাহিদাপত্র গ্রহণের পরিবর্তে সরাসরি টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে যাত্রীদের টিকিট দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে নিয়মিত যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা জানিয়েছে লঞ্চ মালিক কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, এবারের ঈদে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে সরাসরি ২২টি বেসরকারি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে গ্রিনলাইন ওয়াটার ওয়েজ কোম্পানির দুটি ও অ্যাডভেঞ্চার কোম্পানির একটি জাহাজ দিবা সার্ভিসে চলবে।