আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৫-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

তিন জেলায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৫

আলোকিত ডেস্ক
| খবর

কক্সবাজার, যশোর এবং ঈশ^রদীতে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দ্ইু রোহিঙ্গাসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজারে দ্ইু রোহিঙ্গাসহ তিনজন, যশোরে-১ ঈশ^রদীতে একজন নিহত হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরÑ

কক্সবাজার : কক্সবাজার শহর ও টেকনাফে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দ্ইু রোহিঙ্গাসহ তিনজন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে টেকনাফের শামলাপুর ও কক্সবাজার শহরের কাটাপাহাড় এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। নিহত রোহিঙ্গারা মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতরা হলেন, শামলাপুর রোহিঙ্গা শিবিরের আবদুর রহিমের ছেলে আজিম উল্লাহ (২০), উখিয়ার জামতলী রোহিঙ্গা শিবিরের মৃত রহিম আলীর ছেলে আবদুস সালাম (৫২) ও কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার জহির হাজির ছেলে ছৈয়দুল মোস্তফা প্রকাশ ‘ভুলু’।
টেকনাফ থানার মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, কয়েকজন দালাল রোহিঙ্গাদের পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করছে। এ সময় টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ করতে থাকে। একপর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এ সময় দুইজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। 
এদিকে কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলি এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী ছৈয়দুল মোস্তফা প্রকাশ ‘ভুলু’র গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের কাটাপাহাড় এলাকা থেকে আলোচিত এ সন্ত্রাসীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ উদ্দিন খন্দকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ইয়াবা ব্যবসায়ী ছৈয়দুল মোস্তফা প্রকাশ ‘ভুলু’কে নিয়ে কাটাপাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে গেলে তার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এতে সে গুলিবিদ্ধ হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন।
যশোর : যশোরে মহাসড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির সময় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত দলের নেতা আবুল কাশেম (৪২) নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের নোঙ্গরপুর নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবুল কাশেম যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শোলাপুর গ্রামের কলিমুদ্দিনের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যশোরের মণিরামপুর, কেশবপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এ ঘটনার পর আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১১ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। 
ঈশ^রদী : ঈশ^রদীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে হাফিজুর রহমান তিতাস মোল্লা (৩৮) নামের এক কুখ্যাত ডাকাত নিহত হয়েছেন। তিনি অস্ত্র, বিস্ফোরক, ডাকাতি, মটর সাইকেল চুরি, ছিনতাইসহ ১৭ মামলার পলাতক আসামি। তিতাস ঈশ^রদীর সাহাপুর ইউনিয়নের বাঁশেরবাদা গ্রামের মৃত আবদুল আজিজ মোল্লার ছেলে।  
সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটায় ঈশ^রদী থানার সাঁড়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়ার চানমারী গ্রামের লাবলুর আখ ক্ষেতের সামনে পাকা রাস্তার ওপর এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঈশ^রদী থানার  ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, চানমারী গ্রামে একদল ডাকাত ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ঈশ^রদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় বন্দুকযুদ্ধে ডাকাত তিতাস আহত হয়। পরে তাকে ঈশ^রদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই রাউন্ড গুলিভর্তি একটি বিদেশি রিভলবার ও ছয় রাউন্ড ফায়ারকৃত গুলির খোসাসহ অন্য আলামত উদ্ধার  করেছে।