বগুড়ায় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে চারটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকালে নিজ বাসায় গৃহবধূ হত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আরও তিনটি নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটেছে।
মামিকে হত্যার পর ভাগ্নের আত্মহত্যা : বগুড়ার শিবগঞ্জে মামিকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে ভাগ্নে। মামি অনৈতিক সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মামি আলেয়া বেগম (৩৫) ভাগকোলা গ্রামের দিনমজুর সাইদুর রহমানের স্ত্রী। ভাগ্নে আপেল (২০) পাশের টেপাগাড়ী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে।
শয়নকক্ষে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক খুন : বগুড়া শহরের চেলোপাড়ায় শয়নকক্ষে দুর্বৃত্তের গুলিতে পাভেল (৩০) নামের এক যুবক খুন হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে শহরের দক্ষিণ চেলোপাড়ায় খুনের এ ঘটনা ঘটে। নিহত পাভেল দক্ষিণ চেলোপাড়ার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে পাভেল খুন হয় বলে স্থানীয়দের ধারণা। তবে পুলিশ এ বিষয়ে মুখ খুলছে না। ঘটনার পরপরই নিহত পাভেলের ভগ্নিপতি আবু বক্করকে পুলিশ আটক করেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তবে পুলিশ তাকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
নন্দীগ্রামে স্বামীর হাতে কিশোরী খুন : পরকীয়ায় বাধা দেওয়া এবং যৌতুকের টাকা না পাওয়ার ফলে ফারজানা (১৫) নামের এক কিশোরী বধূ স্বামীর হাতে খুনের শিকার হয়েছে। নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের আগাপুর গ্রামের আবুল কালামের কিশোরী মেয়ে ফারজানার এক মাস আগে বিয়ে হয় পাশের পারশুন গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে রকি হোসেনের সঙ্গে। বিয়ের সময় ২৫ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা থাকলেও ফারজানার বাবা পরিশোধ করতে পারেননি। এক বছর পর যৌতুকের টাকা দিবে মর্মে ১৫ দিন আগে মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে রেখে যায়। এর মধ্যে রকির পরকীয়া দেখে ফেলায় স্ত্রী তাকে বাধা প্রদান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফারজানাকে হত্যা করে রকি। সোমবার ভোরে স্বামীর বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে ড্রেনের মধ্যে ফারজানার লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই স্বামী রকি হোসেন পালিয়ে যায়।
শয়নকক্ষে ছুরিকাঘাতে নারী খুন : বগুড়ায় নিজ ঘরে খুন হয়েছেন জিন্নাত ফারজানা এলমা (৪২) নামের এক নারী। ঘরে কেউ না থাকায় দুর্বৃত্তরা কৌশলে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে তাকে খুন করে। সোমবার বিকালে বগুড়া শহরের মালতীনগর এসপি বাংলো লেনে এ খুনের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী আলহাজ মকবুল হোসেন মুকুলকে থানায় নেয়।
জানা গেছে, বগুড়া শহরের পালশা এলাকার ফল ব্যবসায়ী আলহাজ মকবুল হোসেন মুকুলের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর জিন্নাত ফারজানা এলমাকে বিয়ে করেন। মালতীনগরে দোতলা বাসার নিচতলায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তারা। তাদের কোনো সন্তান ছিল না। তবে এলমার প্রথম স্বামীর ঘরে এক মেয়ে রয়েছে। সে মেয়ের বগুড়া শহরের বাদুড়তলায় বিয়ে হয়েছে।
