বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থের ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করাকে স্থানীয় দুটি শাখা অগণতান্ত্রিক ও গণমানুষের আকাক্সক্ষাবহির্ভূত বলে আখ্যায়িত করেছেন। খুলনা জেলা ও নগর শাখা বিজেপি কেন্দ্রের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। তারা স্থানীয় ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে সব কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার অনুষ্ঠিত বৈঠকে জেলা ও নগর বিজেপির স্থানীয় শীর্ষপর্যায়ের নেতারা দলীয় প্রধানের বিবৃতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন। বিজেপির স্থানীয় শীর্ষপর্যায়ের নেতারা স্পষ্ট বলেছেন, রাজনৈতিক এ দুর্যোগের মধ্যে ২০
দলের শক্তি খর্ব হলে গণমানুষের গণতান্ত্রিক আন্দোলন সফল হবে না। এতে গণতন্ত্রমনা রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
নগর বিজেপির সভাপতি অ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান লাবু বলেন, এ মুহূর্তে দলীয় প্রধানের বিবৃতি বৃহত্তর স্বার্থ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে সময়ে বিরোধী দল রাজনৈতিক হামলা-মামলার শিকার, সে সময়ে দলীয় প্রধানের বিবৃতি সরকারের স্বার্থকে সংরক্ষণ করেছে। দুঃসময়ে জোট ত্যাগ করা কাপুরুষের মনোভাব বলে তিনি আখ্যায়িত করেন। দলীয় প্রধানের বিবৃতি গণমানুষের আন্দোলনের পরিপন্থি। সিটি করপোরেশন ও একাদশ জাতীয় নির্বাচনে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিরোধী শিবিরে সমর্থন দিয়েছে। ১৫ কোটি মানুষের স্বার্থে আরও ত্যাগ স্বীকারের জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াই চলছে। বিরোধী দলের বিপর্যয়ের মধ্যে মান-অভিমান চলে না। তাদের এ বক্তব্যের সঙ্গে জেলা শাখাও একমত পোষণ করেছে। ব্যারিস্টার পার্থের বিবৃতির পর বিজেপির স্থানীয় নেতারা বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করেই চলেছে। বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর ইফতার মাহফিলে বিজেপির উপস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। স্থানীয় নেতাদের বক্তব্য স্পষ্ট তারা ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে থাকবেন।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ১৫ মে কেসিসি ও ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় নির্বাচনে খুলনায় বিজেপির জেলা ও মহানগর শাখা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলের সঙ্গে সক্রিয় ভূমিকা নেয়।