আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সারা দেশে যথাযথভাবে পালনের সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষে আগামী শুক্রবার রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় আলোকসজ্জা করা হবে। রমজানের কারণে কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে শুধু ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভা করবে আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। এদিকে ছাত্রলীগের সদ্যগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ওপর পদপ্রাপ্তদের হামলা ‘সামান্য ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেন হানিফ। তিনি বলেন, এ নিয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশের কিছু নেই। ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকই এ সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ সংগঠন, যে সংগঠনের লাখ লাখ নেতাকর্মী মুজিব আদর্শের সৈনিক হিসেবে আছেন। এমন একটি সংগঠন যার হাজার হাজার লাখ লাখ নেতাকর্মী আছেন। তাদের মধ্যে যোগ্য নেতারা সবাই পদ-পদবির প্রত্যাশা করেন। কিন্তু সবাইকে তো আর পদ-পদবি দেওয়া সম্ভব হয় না; সেই সুযোগও হয় না। তিনি বলেন, পদের সংখ্যা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থেমে যায়। স্বাভাবিকভাবেই কমিটি হওয়ার পর সবাই যখন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয় না তখন কিছু ব্যক্তির মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়, এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রায় সব জায়গায় এমন একটি পরিস্থিতি দেখা যায়। তিনি আরও বলেন, আর যেহেতু ছাত্রসমাজ তরুণ। তাদের মধ্যে হয়তো ক্ষোভটা কোনো কোনো সময় একটু বেশি আকারে দেখা যায়। এছাড়া ছাত্রলীগের অনেকে ভেবেছিলেন বড় পদ পাবেন, সেটা হয়তো পাননি। তারা হয়তো অপেক্ষাকৃত ছোট পদ পেয়েছেন। এ ধরনের দুয়েকজনের ক্ষোভ থাকতে পারে।
আওয়ামী লীগের এ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের আগামী জাতীয় সম্মেলন যথাসময় অক্টোবরেই সম্পন্ন হবে। আমাদের সংগঠনকে তৃণমূল পর্যন্ত ঢেলে সাজিয়ে জাতীয় কাউন্সিল করতে পারব। পাশাপাশি আমাদের যেসব সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন আছে, যেসব সংগঠনের মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে বা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে তাদেরও কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করার জন্য আমাদের সভা থেকে নির্দেশনা দিয়েছি। তারাও তৃণমূল পর্যন্ত তাদের সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারবে।