মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার লুন্দীবাজার সংলগ্ন স্থানে পাঁচ বছর আগে একটি ব্রিজ নির্মিত হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় জনগণ যাতায়াত এবং মালামাল পরিবহন করতে পারছে না- আলোকিত বাংলাদেশ
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের লুন্দী বাজার সংলগ্ন একটি সেতু দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে নির্মাণ করা হলেও স্থানীয় জনগণ যাতায়াত এবং মালামাল পরিবহন করতে পারছেন না।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সেতুটি দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে বৃহত্তর ফরিদপুর উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এক কোটি সতের লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু সেতুর একদিকে পুকুর থাকায় মাটি ভরাটের অভাবে স্থানীয় জনগণ ও স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা এটি ব্যবহার করতে পারছে না। বর্তমানে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে জনসাধারণ ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে কোনো ভাবে হাঁটাচলা করছে। এত যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেতুর পাশে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও এই ছাত্রছাত্রীরা চলাচল করতে পারছে না। কিছুদিন আগে এই সেতু থেকে পড়ে একটি শিশুর হাত ভেঙে যায়।
লুন্দি বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সেতু সংলগ্ন রাস্তা না থাকায় তাদের টেকেরহাট-রাজৈর থেকে মালামাল পরিবহন করতে বেশ অসুবিধায় পড়তে হয় এবং অন্য জায়গা দিয়ে ঘুরে আসতে হলে তাদের পরিবহন খরচ বেশি হয়। স্থানীয়দের দাবি তারা বেশ কয়েকবার উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সত্ত্বেও প্রকৌশলী তাদের কথা তোয়াক্কা করেনি। তাদের দাবি, অতিসত্বর সেতু সংলগ্ন রাস্তাটি নির্মাণ করে জনগণের চলাচলের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক।
ইশিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফায়েজুর রহমান হিরু জানান, স্থানীয় দুই একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির কারণে টেন্ডার হওয়ার পরও কাজে বিলম্ব হচ্ছে। আমি সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ শুরু হবে।
রাজৈর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী মাহমুদউল্লাহ জানান, সেতুটি যে সময় নির্মাণ হয় তখন অ্যাপ্রোচ সড়কের বরাদ্দ ছিল না। আমরা নতুন করে বরাদ্দ করিয়েছি। টেন্ডার হয়ে গেছে। অতিসত্বর কাজ শুরু হবে।