কমিয়ে দেওয়া হলো পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়সীমা। ১৯ মে পশ্চিমবঙ্গে চলতি লোকসভার শেষ দফার নির্বাচন। তার আগেই পশ্চিমবঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের প্রচার পুরো এক দিন কমিয়ে দেওয়া হলো। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারের মধ্যেই প্রচার পর্ব শেষ হওয়ার কথা। এই প্রথমবার সংবিধানের ৩২৪ নম্বর ধারা প্রয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। এ ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনকে ‘পরিচালনা, নির্দেশ দেওয়া এবং ভোট নিয়ন্ত্রণ করার’ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর রোডশো চলাকালীন গ-গোলের পর এ পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। যদিও পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রশ্ন তুলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি কি আদৌ সেই রকম! যাতে ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করতে হলো? নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের পেছনে বিজেপি কলকাঠি নেড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গে শুধু ভোট প্রচারের সময়সীমাই কমিয়ে দেওয়া হয়নি। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কলকাতার সাবেক পুলিশ কমিশনার রাজিব কুমারকে রাজ্যের এডিজি সিআইডির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাকে ওই পদ থেকে অপসারিত করে দিল্লিতে রিপোর্ট করতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন।
এরপরই সেই অত্রি ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হলো তার দায়িত্ব থেকে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তার অভিযোগের কারণেই তাকে পদ থেকে অপসারিত করা হলো।