যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ সহায়তা বন্ধের কারণে মারাত্মক খাদ্য সংকটে পড়েছে গাজা। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক ত্রাণ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ফিলিস্তিনি সহায়তা তহবিলে অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ায় এ সংকট তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘ সংস্থটির আশঙ্কা, জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সহায়তা না মিললে আগামী মাস থেকেই ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি ক্ষুধার্ত হয়ে দিন কাটাতে বাধ্য হবে। গাজায় জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি সহায়তা তহবিলের পরিচালক ম্যাথিয়াস স্কেমেল বলেন, আমরা খাবার সরবরাহের ব্যাপারে খুবই কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছি। আমরা ১০ লাখ মানুষকে তাদের প্রয়োজনের এক-চতুর্থাংশ খাবার সরবরাহে সমর্থ হচ্ছি। কিছু দিন পর সেটিও সম্ভব হবে না। ন্যূনতম খাবার না পেলে অনেক মানুষই বাঁচবে না। ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করার আগে ম্যাথিয়াস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ বন্ধ করার কারণেই তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। অর্থ সংকটের কারণে গাজায় যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের মানসিক সহায়তা কার্যক্রম কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে জাতিসংঘ সংস্থাটি। এছাড়া গাজার মানুষের জন্য সাময়িক কর্মসংস্থানের কার্যক্রমও বাদ দিতে হয়েছে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের চূড়ান্ত অবনতি হতে শুরু করে। এরই জের ধরে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি সহায়তা তহবিলে অর্থ বরাদ্দ প্রত্যাহার করতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। গাজার বাসিন্দাদের জীবন রক্ষায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, আরব দেশগুলোসহ রাশিয়া এবং চীনের মতো সমৃদ্ধশালী দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। দ্য গার্ডিয়ান
