লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম, তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ এখনও বাকি। এখনও চলছে প্রচার পর্ব। এর মধ্যেই নির্বাচন-পরবর্তী জোট-গুঞ্জন উসকে দিয়ে বিরোধী দলগুলোর নেতা-নেত্রীদের দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানালেন ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী। ২৩ মে এ বৈঠকের ডাক দিয়েছেন সোনিয়া। সেদিনই সামনে আসবে লোকসভা নির্বাচনের ফল। সোনিয়ার পাঠানো আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন। এ লোকসভা নির্বাচনে সেভাবে সামনে আসেননি সোনিয়া। কোনো নির্বাচনি প্রচারেই তাকে খুব একটা প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী আর সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রকেই প্রচারের মুখ করে তুলেছেন তিনি। কিন্তু তিনি যে রাজনৈতিকভাবে এখনও সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন, তার প্রমাণ মিলল নির্বাচন-পরবর্তী জোট-জল্পনা উসকে দেওয়াতেই। আর সেজন্য তিনি বেছে নিলেন ফল ঘোষণার দিনটিকেই। ২৩ মে ফলের পর ‘কোনো সময় নষ্ট করতে’ চায় না কংগ্রেস। বিরোধীদের সব দলই যাতে প্রস্তুত থাকে, সেই কারণে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তারা।
সূত্রের খবর, বিজেপিবিরোধী দলগুলোর কাছে জোট-বার্তা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কমলনাথসহ আরও বেশকিছু গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ নেতার হাতে। সেই বার্তা এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে ওড়িশার বিজু জনতা দল নেতা নবীন পট্টনায়েক, ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা জগনমোহন রেড্ডি এবং টিআরএস নেতা কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের কাছে। শুরু হয়েছে প্রাথমিক কথাবার্তাও। সোনিয়া যে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন, তা পাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তামিলনাড়–র ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন। তিনি বিভিন্ন সময় বলেছেন, রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেসের নেতৃত্বেই বিরোধী দলগুলোর জোট করা উচিত। তবে সোনিয়ার বৈঠকে উপস্থিত নাও থাকতে পারেন মমতা ব্যানার্জি, মায়াবতী এবং সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। আনন্দবাজার