আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৭-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

ঋণখেলাপিদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
| প্রথম পাতা

গেল ২০ বছরে ব্যাংকের ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রস্তুত করে তা দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিগত বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে কী পরিমাণ অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে, তা নির্ণয়ে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ জুনের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এ রায় দেন। শুনানিতে রিটের পক্ষে বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। এর 

আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গেল ২০ বছরের ব্যাংকের ঋণখেলাপি ও অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রস্তুত করে তা দাখিল করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিগত বছরগুলোতে ব্যাংকিং খাতে কী পরিমাণ অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে, তা নির্ণয়ে একটি শক্তিশালী কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। রুলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দিলেন হাইকোর্ট।
ব্যাংকিং খাতে অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, প্রাইভেট ও পাবলিক ব্যাংকগুলোতে ব্যাংক ঋণের ওপর সুদ মওকুফের বিষয়ে তদন্ত এবং তা বন্ধে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কমিশন গঠন করার অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ পাঁচটি মন্ত্রণালয়ের সচিবদের ২৩ জানুয়ারি একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।