একের অধিক দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত কোনো টুর্নামেন্টে এর আগে বাংলাদেশ ফাইনালে উঠেছে ছয়বার। দুটি আছে আবার টি-টোয়েন্টিতে। কিন্তু একবারও ট্রফি ছুঁতে পারেনি টিম টাইগার্স। সাকিব-মুশফিকদের চোখের জলে লেখা হয়েছে কষ্টের উপাখ্যান। তাই বাংলাদেশের জন্য ফাইনালের উপলক্ষ মানেই হৃদয় ভাঙার একেকটি নতুন গল্প। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সপ্তমবারের মতো কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে নামছে বাংলাদেশ। ডাবলিনের মালাহিডে বাংলাদেশ সময় বিকাল পৌনে ৪টায় হবে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা নির্ধারণী লড়াই। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেল জিটিভি ও মাছরাঙা টেলিভিশনে।
দুই এশিয়া কাপ, নিদাহাস ট্রফি আর তিনটি ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল হেরেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের আগের ছয় ফাইনাল হারের পাঁচটিতেই ছিলেন মাশরাফি, নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনটিতে। তাই শিরোপা নাগালে পেয়েও হারিয়ে ফেলার হতাশা তিনি খুব ভালো জানেন। যে কারণে চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠেও রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছিল না বাংলাদেশ অধিনায়ককে। তবে বুধবার লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর ভাবনায় এসেছে পরিবর্তন মাশরাফির। এবার তিনি চোখ রাখছেন অধরা এ শিরোপায়।
এ টুর্নামেন্টে ৪ ম্যাচের ৩টিতেই দাপট দেখিয়ে হেসেখেলে জিতেছে বাংলাদেশ। একটি ম্যাচ
(আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে) বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়। লিগ পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টানা দুই ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল মাশরাফি বাহিনী। প্রথম সাক্ষাতে ৮ উইকেটে উইন্ডিজকে উড়িয়ে দেওয়ার পর দ্বিতীয় মুখোমুখিতেও ৫ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। বুধবার ডাবলিনের ক্যাসল এভিনিউয়ে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ। ৪২ বল হাতে রেখে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ২৯৩ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে যান তামিম-সাকিবরা। দলের নান্দনিক পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি মাশরাফি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম, ৩০০ রান তাড়া করা সম্ভব। বোলিংয়ে আবু জায়েদ অসাধারণ করেছে। আমাদের ব্যাটিংও দুর্দান্ত ছিল; বিশেষ করে টপঅর্ডারের ব্যাটিং।’
ফাইনাল প্রসঙ্গে টাইগারদের অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা সিরিজে তিনটা খেলে তিনটাই জিতেছি। ফাইনাল নিয়েও আমরা আত্মবিশ্বাসী।’ ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি জিততে পারলে বিশ্বকাপে আরও আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারবে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ‘যদি এখান থেকে জিতে বিশ্বকাপে যেতে পারি, তাহলে ভালো হবে। দলের সবার মধ্যেই আত্মবিশ্বাস কাজ করবে।’ মাশরাফি আরও বলেন, ‘তিন জয়ে আমরা বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছি। ফাইনাল ম্যাচটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ফাইনালের দিন আমাদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হবে।’