দুই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল স্থগিত ২৫

নিম্নমানের পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত আরও ২৭ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। এর মধ্যে দুই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে এবং লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে ২৫ প্রতিষ্ঠানের। বৃহস্পতিবার বিএসটিআইয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বুধবার ২৫ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল বিএসটিআই। এর মধ্যে সাতটির লাইসেন্স বাতিল করা হয়, স্থগিত করা হয় ১৮টির। লাইসেন্স বাতিল 

করা পণ্যগুলো হলোÑ চট্টগ্রামের এসএস কনজ্যুমার প্রোডাক্টসের মরিচের গুঁড়া পিওর হাটহাজারী এবং নওগাঁর কিরণ ট্রেডার্সের কিরণ লাচ্ছা সেমাই। বিএসটিআইয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওইসব পণ্যের মানোন্নয়ন করে আবার অনুমোদন না নেওয়ার আগ পর্যন্ত উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের এসব পণ্য বিক্রি-বিতরণ, সংরক্ষণ ও বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন প্রচার থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট উৎপাদনকারীদের বিক্রিত মালামাল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভোক্তাদেরও ওইসব পণ্য ক্রয় না করার অনুরোধ করা হয়েছে। লাইসেন্স স্থগিত করা পণ্যগুলো হলোÑ বাঘাবাড়ি স্পেশাল ঘি, নিশিতা সুজি, মঞ্জিল হলুদের গুঁড়া, গ্রিন ল্যান্ডস মধু, শান হলুদের গুঁড়া, মধুমতি আয়োডিনযুক্ত লবণ, জেদ্দা লাচ্ছা সেমাই, নূর স্পেশাল আয়োডিনযুক্ত লবণ, অমৃত লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপার আয়োডিনযুক্ত লবণ, তিন তীর আয়োডিনযুক্ত লবণ, মদিনা-স্টারশিপ আয়োডিনযুক্ত লবণ, তাজ আয়োডিনযুক্ত লবণ, ডলফিন মরিচের গুঁড়া, ডলফিন হলুদের গুঁড়া, সূর্য মরিচের গুঁড়া, মধুফুল লাচ্ছা  সেমাই, মিঠাই লাচ্ছা সেমাই, কিং ময়দা, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, রূপসা ফারমেন্টেড মিল্ক, মেহেদি বিস্কুট, মিষ্টি মেলা লাচ্ছা সেমাই, মক্কা চানাচুর ও মধুবন লাচ্ছা সেমাই। এর আগে বুধবার লাইসেন্স বাতিল করা হয় আল সাফি ড্রিংকিং ওয়াটার, নারজান ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ণ ডিউ পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার, আর আর ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, শান্ত ফুড প্রডাক্টস (পণ্য-টেস্টি, তানি ও তাসকিয়া), প্রিয়া ব্র্যান্ডের সফট ড্রিংক পাউডার ও বনলতা ঘি। একই দিন ১৮টি পণ্যের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছিল। এর আগে ১২ মে বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় নি¤œমান প্রমাণিত হওয়ায় ৫২টি খাদ্যপণ্য অবিলম্বে বাজার থেকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসব খাদ্যপণ্য বিক্রি ও সরবরাহে জড়িত লোকজনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।