রাহি চূড়ান্ত দলে, রিজার্ভে তাসকিন

ধবিশ্বকাপের দল

আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে দুই ম্যাচ খেলেছেন বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া আবু জায়েদ রাহি। অভিষেক ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেও নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখান এ তরুণ পেসার। বিশ্বকাপের আগে তার এ পারফরম্যান্স নজর কাড়ে সবার। শুক্রবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, আবু জায়েদ রাহি বিশ্বকাপেও খেলবেন। অন্যদিকে বিশ্বকাপ খেলতে মুখিয়ে থাকা তাসকিন আহমেদকে রাখা হয়েছে রিজার্ভ স্কোয়াডে। যদি কেউ ইনজুরিতে পড়েন, তাহলে বিশ্বকাপ দলে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন তাসকিন। আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট রাহির অভিষেক হওয়ার আগে গুঞ্জন ছড়ায়Ñ বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়তে পারেন এ নবীন বোলার। দলে যুক্ত হতে পারেন তাসকিন। কিন্তু এ গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে বিসিবির সভাপতি জানান, প্রত্যেক পজিশনের জন্য একজন করে খেলোয়াড় রিজার্ভ স্কোয়াডে রেখেছেন তারা। কেউ ইনজুরিতে পড়লে তার জায়গা কে আসতে পারেন, সে তালিকাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পেস আক্রমণে অতিরিক্ত হিসেবে দলে আছেন রাহি। ওপেনিংয়ে কেউ ইনজুরিতে পড়লে ইমরুল কায়েস সুযোগ পেতে পারেন। রিজার্ভ স্কোয়াডে আছেন ৬ থেকে ৭ ক্রিকেটার। তাদের প্রস্তুত রাখতে ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হবে। ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান দারুণ পারফম্যান্স দেখিয়েছেন। দলের পারফরম্যান্সে খুশি পাপনও। বিসিবির প্রধান জানান, তামিম, সাকিব, মুশফিক ভালো খেলছে। তরুণ যারা তারাও ভালো খেলছে। সৌম্য-লিটন দারুণ খেলছে। বোলাররা ভালো করছে। সব মিলিয়ে দল ভালো খেলছে।
বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ দল ভালো খেলতে পারেÑ এমনটাই প্রত্যাশা। আইসিসি গতকাল বিশ্বকাপের জন্য ১ কোটি ডলার প্রাইজমানি ঘোষণা করেছে। বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪০ লাখ ডলার। রানার্সআপ দল পাবে ২০ লাখ ডলার। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রাইজমানির পাওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে পাপন বলেন, এটা সবাই আশা করে। তবে আমরা এখনও ওই মানের টিম হতে পারিনি। আমাদের অনেক দেরি আছে। হ্যাঁ, আমরা উন্নতি করেছি। তবে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। দক্ষিণ আফ্রিকা অসাধারণ টিম। নিউজিল্যান্ড সুন্দর টিম। ফেভারিট হিসেবে বিশ্বকাপে নাম আসছে ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। তো এটা খুবই কঠিন। তিনি আরও বলেন, আমরা আগে হঠাৎ করে একটা ম্যাচ জিততাম। সেটাতেই আমরা খুশি থাকতাম। কত কম রানে হারতে পারি, সেটা চিন্তা করতাম আমরা। এখন আমরা প্রতিটা ম্যাচ লড়াই করছি জেতার জন্য। এটা একটা প্লাস পয়েন্ট। দেশের মানুষ ও সারা পৃথিবী বিশ্বাস করে যে আমরা এখন জিততে পারি। যে জায়গায় খেলা হচ্ছে, যে কন্ডিশনÑ আসলেই আমরা একেবারে অভ্যস্ত না। গত ১২ বছর ইংল্যান্ড আমাদের ডাকেনি একটা সিরিজ খেলতে। ওরা আমাদের এখানে এসে খেলেছে। কিন্তু আমাদের ডাকেনি। কাজেই এ কন্ডিশনের সঙ্গে আমরা অভ্যস্ত নই। পরবর্তী চার বছর সবক’টি খেলা দেশের বাইরে। আগামী চার বছরে বাইরে খেলতে অভ্যস্ত হব। উপমহাদেশে খেলার জন্য আমাদের অনেক ভালো দল। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য সেমিফাইনালে খেলা।