আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৯-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

ধানের দাম নিয়ে সমস্যার দ্রুতই সমাধান করা হবে : কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
| অর্থ-বাণিজ্য

ধানের দাম নিয়ে যে সমস্যা, তা দ্রুতই সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, এ মুহূর্তে ধান কিনে দাম বাড়ানোর সুযোগ সরকারের হাতে নেই। প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। 
শনিবার রাজধানীর আইইডিবি সম্মেলন কক্ষে ‘জলবায়ু পরিবর্তন : কৃষি খাতের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইইডিবি), কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) এবং বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের (বিসিজেএফ) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বিসিজেএফ সভাপতি কাওসার রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. খলীকুজ্জমান আহমদ।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, সারা দেশ থেকে চাষিদের নির্বাচন করা কঠিন বলেই সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান বা চাল কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এ সংকট নিরসনে সীমিত পর্যায়ে চাল রপ্তানির চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে কৃষি খাত। তবে নানা সমস্যা থাকার পরও বাংলাদেশে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কৃষি খাতে বিপ্লব হয়েছে। এটা খারাপ দিক নয়। এটা নিয়ে হতাশারও কিছু নেই। কৃষি একটি স্পর্শকাতর সেক্টর। আমরা তো সব সময় চাই খাবারের দাম কম থাকুক, চালের দাম কম থাকুক। বাংলাদেশে অধিক ধান উৎপাদন এখন বিড়ম্বনা হয়ে দেখা দিয়েছে। ধান চাষ উদ্বৃত্ত হয়েছে।
ধানের দাম কম হওয়ায় ধান ক্ষেতে আগুন দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দু-একজন ভাবাবেগ হয়ে ধান ক্ষেতে আগুন দিয়েছেন। সারা দেশে ওইভাবে আগুন দিচ্ছে না। আমি মনে করি, মানুষ দায়িত্বশীল, তারা নিজের খেতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলবেন, এটা কোনো দিনও হতে পারে না। আমরা অবশ্যই কৃষিকে আধুনিকীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও যান্ত্রিকীকরণ এ তিনটির মাধ্যমে এখন যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, সে সমস্যার সমাধান অবশ্যই করব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী। সেমিনারে উৎপাদনশীলতার পাশাপাশি গুদাম বাড়ানো এবং ধানের দাম নিয়ে সংকট সমাধানে স্থায়ী কমিশন গঠনের পরামর্শ দেন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। কৃষিকে আধুনিকীকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ ও যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে সম্প্রতি দেশব্যাপী ধানের মূল্য হ্রাসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ধান, গমসহ বার্ষিক উৎপাদন সাড়ে ৩ কোটি টন। সরকারের গুদামজাতকরণের ক্ষমতা রয়েছে ২০ থেকে ২২ লাখ টন। তার মধ্যে গেল বছর ১০ লাখ টনের বেশি কেনা ফসল রয়ে গেছে। সুতরাং, যত দিন পর্যন্ত কৃষকের কাছ থেকে সব ধান-চাল কিনে মজুদ করা সম্ভব না হয়, তত দিন কৃষককে উপযুক্ত দাম দেওয়া সম্ভব হবে না। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিজেএফ সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন।