সম্প্রতি ঢাকার উত্তরার মৌশাইর, চালাবন, শাহ কবির মাজার রোড, দক্ষিণখান এলাকায় অবস্থিত ‘আর্মি সোসাইটিতে ফ্ল্যাট বিক্রয়’ শিরোনামে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের বিষয়ে সেনা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। ওই ‘আর্মি সোসাইটি’ নামক এলাকাটি সেনাবাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনীর আবাসিক এলাকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত-স্বীকৃত নয়। এছাড়াও বর্ণিত সংস্থার নামটি কোনো সরকারি নথিতে (রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অ্যান্ড ফার্মস) লিপিবদ্ধ নেই।
মূলত এলাকাটি আগে থেকেই সেনাবাহিনীর বিভিন্ন প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হতো বিধায় স্থানীয় জনসাধারণের কাছে ‘আর্মি টেক’ নামে পরিচিতি লাভ করে। আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ বছর আগে কিছু ব্যক্তি নিজেদের উদ্যোগে যৌথভাবে ‘আর্মি সোসাইটি হাউস ও নার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি সমিতি গঠন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এলাকাটি ‘আর্মি সোসাইটি’ নামে পরিচিতি লাভ করে। বর্তমানে কথিত ‘আর্মি সোসাইটি’ এলাকায় প্রায় ১৫০-এর অধিক বাড়ি-প্লট রয়েছে। ওই এলাকায় বিভিন্ন ডেভেলপার কোম্পানি কর্তৃক কিছু বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ওই আবাসিক এলাকায় জমি-ফ্ল্যাটের মূল্যে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য আবাসিক এলাকার তুলনায় অধিক বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, কিছু ব্যক্তিদের নিজস্ব উদ্যোগে জমি ক্রয়পূর্বক ‘আর্মি’ নাম ব্যবহার করে এলাকার নামকরণ ‘আর্মি সোসাইটি’ করা যুক্তিযুক্ত নয়। এছাড়াও ‘আর্মি সোসাইটি’ নামটি পুঁজি করি কিছু ব্যক্তি-ডেভেলপার কোম্পানি কর্তৃক বর্ণিত জমি-ফ্ল্যাট পার্শ্ববর্তী এলাকার চেয়ে বেশি দামে বিক্রির মাধ্যমে বেসামরিক পরিম-লে সেনাবাহিনীর সুনাম ও মর্যাদা ক্ষুণœ করেছে। এমন অপতৎপরতা জরুরি ভিত্তিতে বন্ধ করা আবশ্যক। আইএসপিআর