আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৯-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

সরাসরি কৃষক থেকে ধান কিনুন সরকারকে জিএম কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
| শেষ পাতা

মিল মালিক নয়, সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সরকারকে ধান কেনার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মুহম্মদ কাদের। তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ কৃষক তার শ্রমিকের মজুরি দিতে পারছে না।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে বোরো ধান নিয়ে বিপাকে পড়া কৃষকের সমস্যা সমাধানে সরকারের ভূমিকা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মুহম্মদ কাদের বলেন, প্রয়োজনে বেসরকারি মালিকানাধীন গুদামগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে ধান সংরক্ষণের উপযুক্ত করে ধান সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মোকাবিলায় চাল রপ্তানি ভবিষ্যৎ খাদ্য সংকট ঝুঁকি বহন করে। যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া ত্বরিৎ সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। 
তিনি আরও বলেন, বোরো ধান নিয়ে কৃষক বিপাকে পড়েছেন। হতাশাগ্রস্ত কৃষক বোরো মৌসুমে ধান কাটছেন না।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগের বরাত দিয়ে প্রচারিত সংবাদে জানা যায়, প্রতি মণ ধান উৎপাদনে কৃষকের খরচ হয়েছে ৯০৬ টাকা ৫০ পয়সা। কিন্তু বাজারে প্রতি মণ ধানের দাম ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা। আবার ধান কাটতে একজন কৃষি শ্রমিককে তিন বেলা খাবারসহ মজুরি বাবদ খরচ হয় ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এতে কৃষক মাঠের ধান কাটতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। প্রতি মণ ধান যখন বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকায়, ঠিক তখন স্থানীয় বাজারে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি মণ ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। কৃষকের অভিযোগ মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে আমাদের কৃষি। সরকার ধান ক্রয় করে মিল মালিকদের কাছ থেকে, এতে কৃষক ন্যায্যমূল্য পায় না।
তিনি আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার বিদেশে চাল রপ্তানি করতে বিবেচনা করছে। আমরা মনে করি, চাল রপ্তানির আগে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। কারণ কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে চাল/খাদ্যদ্রব্য প্রয়োজন হলে দ্রুততার সঙ্গে আমদানি করা সম্ভব নয়। এতে ভয়াবহ খাদ্য সংকটের ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। 
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন, নাজমা আক্তার এমপি, এমরান হোসেন মিয়া, যুগ্ম মহাসচিব শফিকুল ইসলাম শফিক, জহিরুল আলম জহির, হাসিবুল ইসলাম জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফি, মনিরুল ইসলাম মিলন, মো. হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান, কেন্দ্রীয় নেতা আদেলুর রহমান আদেল এমপি, সাজ্জাদ পারভেজ চৌধুরী, রেজাউল রাজী চৌধুরী স্বপন, সোলায়মান সামী, দ্বীন ইসলাম শেখ, জাকির হোসেন মৃধা, আনোয়ার হোসেন তোতা, শেখ মো. ফয়জুল্লাহ শিপন, মো. নুরুজ্জামান, ওলিউল ইসলাম।