সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে থাকা বিতর্কিতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কার করার কথা থাকলে তা হয়নি। বুধবার মধ্যরাতে ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তবে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিতর্কিতদের বহিষ্কারে সময় নেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিতে বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দেন। পরে রাতে ধানম-িতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিতর্কিতদের বহিষ্কারে ২৪ ঘণ্টা সময় নেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। তখন গোলাম রাব্বানী বলেছিলেন, ‘গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কিত ১৫ থেকে ১৭ জনের নাম আমরা প্রাথমিকভাবে পেয়েছি। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে পদশূন্য ঘোষণা করে বঞ্চিতদের স্থান করে দেব।’ কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তাদের বহিষ্কার করা হয়নি। এ ব্যাপারে শনিবার গোলাম রাব্বানী বলেন, সংবাদ সম্মেলনে যাদের নাম বলেছিলাম, তাদের মধ্যে সাতজন এরই মধ্যে দালিলিক অকাট্য প্রমাণ দিয়েছেন যে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা। বাকিরাও বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা এবং তাদের কাছে তার প্রমাণ আছে। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের সময় নিতে বলেছেন, যেন নিরপরাধ কারও প্রতি অবিচার না হয়।
এক বছর পর সোমবার সংগঠনটির ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে সংগঠনের বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালান। এতে কয়েকজন নারী নেত্রীসহ ১০-১৫ জন আহত হন। সেই ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার তিন সদস্যের কমিটি করে ছাত্রলীগ। কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। সেই সময়সীমাও বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। তবে এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি কমিটি। শনিবার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা আছে।