আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৯-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

মানব পাচার

সিলেটে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা

সিলেট ব্যুরো
| শেষ পাতা

সিলেটের বিশ্বনাথের রেদওয়ানুল ইসলাম খোকনকে প্রতারণার মাধ্যমে বিদেশ পাঠানো ও নিখোঁজের ঘটনায় দালাল রফিকুল ইসলামের লিবিয়া প্রবাসী ছেলেসহ তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১০ থেকে ১১ জনকে। মামলার পর আসামিরা আত্মগোপনে চলে গেছে। 

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ খোকনের বড় ভাই রেজাউল ইসলাম রাজু বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে এ মামলা করেন। মামলায় বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের কাটলীপাড়া গ্রামের চমক আলীর ছেলে দালাল রফিককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে করা মামলার অন্য আসামিরা হলেনÑ দালাল রফিকুল ইসলামের ছেলে বর্তমানে লিবিয়ায় বসবাসকারী 

পারভেজ আহমদ, মেয়ে অনন্যা প্রিয়া ওরফে পিংকি, গোলাপগঞ্জ উপজেলার পুনাইরচর গ্রামের আবদুল খলিলের ছেলে ও সিলেট রাজা ম্যানশনের ইয়াহইয়া ওভারসিজের কর্মকর্তা এনামুল হক তালুকদার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ছোট দেওয়ানপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল জব্বার ভূঁইয়ার ছেলে আবদুর রাজ্জাক ভূঁইয়া। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম বলেন, তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, দালাল রফিকুলের পক্ষে তার মেয়ে পিংকি ইমো ও ওয়াটসআপের মাধ্যমে দালাল চক্রের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখত। এ কারণে তাকেও মামলার আসামি করা হয়েছে। এছাড়া ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবে নিহত আবদুল আজিজের ভাই মফিজ উদ্দিন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে দালাল এনামুলসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। দুই মামলারই আসামি হচ্ছে এনামুল। লিবিয়ার জুয়ারা থেকে অবৈধভাবে ইতালিতে যাওয়ার পথে ১০ মে তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। ওই নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৩৯ বাংলাদেশির একটি তালিকা সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের লাশ উদ্ধারের সম্ভাবনা ফিকে হয়ে এসেছে অনেকটাই।