কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও উপকূলীয় পেকুয়ার উজানটিয়া ঘাট দিয়ে মালয়েশিয়া পাচারের চেষ্টার সময় ৬২ রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় পাঁচ দালালকেও আটক করা হয়েছে। শনিবার ভোরে পৃথক সময় তাদের উদ্ধার ও আটক করা হয়। রোহিঙ্গাদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু।
সেন্টমার্টিন থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে ১৭ রোহিঙ্গা নারী পুরুষকে আটক করে কোস্টগার্ড। এ সময় পাচারে জড়িত থাকায় পাঁচ দালালকে আটক করতে সক্ষম হয়। সেন্টমার্টিনের
বঙ্গোপসাগর তীর হতে বোটের জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় তাদের আটক করা হয়।
সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে কোস্টগার্ড টেকনাফের স্টেশন কমান্ডার লে. ফয়েজুল ইসলাম ম-ল জানান, গভীর রাতে সাত নারী ও ১০ পুরুষ মালয়েশিয়া পাড়ি জমানোর জন্য সাগর তীরে অপেক্ষা করছিলেন। এ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করে। এ সময় পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকায় পাঁচ দালালকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটক দালালরা কুতুবদিয়া, মহেশখালী এবং রামু এলাকার বাসিন্দা।
অন্যদিকে পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া জেটিঘাট থেকে নারী ও শিশুসহ ৪৫ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। দালালচক্রের একটি দল আটক রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে জেটিঘাটে নামিয়ে দিয়ে সটকে পড়েছিল। খবর পেয়ে পেকুয়া থানার এসআই মকবুলের নেতৃত্বে পুলিশ করিমদাদ মিয়ার জেটিঘাট থেকে এসব রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে।
স্থানীয় এহেসানসহ আরও কয়েকজন জানান, রাতে জেটিঘাটে অনেক মানুষ দেখতে পেয়ে আমরা এগিয়ে যাই। তারা নিজেদের রোহিঙ্গা বলে জানান। তখন পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়।
পেকুয়া থানার ওসি জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান, ট্রলারযোগে সাগর পথে তারা মালয়েশিয়া যাওয়া জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন পালিয়ে যান। তবে টলারটি জব্দ করতে পারিনি।