আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৯-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

‘অনুসন্ধানী প্রতিবেদন কমে গেছে’

| প্রথম পাতা

চট্টগ্রাম ব্যুরো : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংবাদপত্র-টেলিভিশনে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আগের চেয়ে কমে গেছে। একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রাষ্ট্র-সমাজের চেহারা পাল্টে দিতে পারে। সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেওয়ার জন্য অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দরকার। শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ‘সাংবাদিকতার নীতিমালা, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও তথ্য অধিকার আইন অবহিতকরণ’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের জন্য এ কর্মশালা আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল। অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, অনুসন্ধানী রিপোর্ট অনেক ক্ষেত্রে আগের চেয়ে কমে গেছে। এ ধরনের রিপোর্ট সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়। দেশের স্বাধীকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের আন্দোলনে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ভূমিকা রয়েছে। গণমাধ্যম রাষ্ট্র গঠন, নতুন প্রজন্মের মনন বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনলাইনকে নিবন্ধনের আওতায় আনছি। বিভিন্ন সংস্থা অনেক অনলাইন সম্পর্কে প্রতিবেদনও দিয়েছে। অনলাইনগুলোকে শৃঙ্খলায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেসক্লাবগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। বস্তুগত উন্নয়ন দিয়ে উন্নত জাতি গঠন সম্ভব নয়। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি উন্নত জাতি গড়তে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কর্মশালা উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিচারপতি মমতাজউদ্দিন আহমেদ পেশার মর্যাদা রক্ষায় সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কে সাংবাদিক আর কে সাংঘাতিক এটা আপনাদের ঠিক করতে হবে। সাংবাদিককে সাংঘাতিক বলা আর শুনতে চাই না। রাস্তাঘাটে যে কেউ সামনে এসে বলবেÑ আমি সাংবাদিক, এটা আর চাই না। থানা লেভেলে যারা কাজ করেন তাদের তো মানুষ ভয় পায়। আমার নিজের স্কুলের অনুষ্ঠানে গিয়ে ৫০টি ছবি তুলল আর বলল ১০ হাজার টাকা দাও। এ পেশা অনাচারে ভরে গেছে। নিজেদের মর্যাদা রক্ষায় আপনারা নিজেরাই ঠিক করেন, কী ধরনের যোগ্যতা থাকলে তাকে সাংবাদিক বলা যাবে। আমরা শুধু আপনাদের সহযোগিতা দিয়ে যাব। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মনজুরুল আহসান বুলবুল। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় উদ্বোধনউ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ প্রমুখ।