বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখি ঝড়-বৃষ্টিতে কয়েকশ’ কাঁচাপাকা ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। গত শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ কালবৈশাখিতে ভেঙে পড়েছে অসংখ্য গাছপালা। এছাড়া উঠতি ফসল বোরো ধানসহ রকমারি মৌসুমি ফলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে এবং তার ছিঁড়ে যায়। এতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলা ১৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকার পর এর সরবরাহ স্বাভাবিক হচ্ছে।
বিকালে হঠাৎ করেই শুরু হয় এ কালবৈশাখি। ঝড়-বৃষ্টিতে উপজেলার শাহবন্দেগী, মির্জাপুর, সুঘাট, গাড়িদহ, খানপুর ও খামারকান্দি ইউনিয়ন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভুক্তভোগীরা জানান, ঝড়ে জমির পাকা ধানসহ মৌসুমি ফল লিচু, আম, জাম ও কাঁঠাল ঝরে পড়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, তারা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের চেষ্টা করছেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অন্তত ১০টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে গোটা উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের আওতাভুক্ত নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড বগুড়ার শেরপুর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফরিদুল হাসান বলেন, ঝড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের তার ছিঁড়ে যায়। একাধিক খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় তা মেরামত কাজের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের আওতায় পাঁচটি ফিডার রয়েছে। এর মধ্যে দুটি ফিডারের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। বাকিগুলোর মেরামত কাজ সম্পন্ন হলেই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে এ কর্মকর্তা জানান।