মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে নতুন করে যুদ্ধ বাধাতে চায় না সৌদি আরব ও ইরান। তবে দুই পক্ষই যুদ্ধে জড়ানোর ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করলেও আক্রান্ত হলে উপযুক্ত জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সৌদি আররের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর বলেছেন, তার দেশ মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে যুদ্ধ এড়ানোর চেষ্টা করবে, কিন্তু আক্রান্ত হলে পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। তিনি বলেন, বল এখন ইরানের কোর্টে। গত সপ্তাহে সৌদির দুটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার ও তেল স্থাপনায় হামলার পর রোববার এসব কথা বলেন তিনি। ওই হামলার ঘটনায় ইরান জড়িত বলে অভিযোগ করেছে সৌদি। দেশটি বলছে, ইরানের নির্দেশেই ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা সৌদির তেল স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। গত মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপকূলে সৌদির দুটি তেলবাহী ট্যাঙ্কারসহ চারটি জাহাজ গুপ্ত হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এসব হামলায় ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান।
রোববার রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুবেইর বলেন, মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে যুদ্ধ চায় না তার দেশ। এ যুদ্ধ ঠেকানোর জন্য যা করা সম্ভব, সৌদি আরব তা করবে। তবে এটিও আবার নিশ্চিত করা হচ্ছে, অন্য পক্ষ যুদ্ধ বেছে নিলে, সৌদি আরব সর্বশক্তি ও দৃঢ়তা নিয়ে জবাব দেবে এবং নিজেকে ও নিজের স্বার্থকে রক্ষা করবে। এদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ জানান, তেহরানও কোনো যুদ্ধ চায় না এবং কোনো দেশ ‘ইরানের মুখোমুখি হওয়ার বিভ্রমে’ ভুগছে না বলে মনে করছেন তারা। ইরানের এলিট রেভ্যুলেশনারি গার্ডের প্রধানও জারিফের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধের জন্য ব্যাকুল নই। কিন্তু আমরা যুদ্ধে ভীতও নই।
এর আগে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের ব্যাপারে আগ্রহ না থাকার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শীর্ষ উপদেষ্টাদের ট্রাম্প বলেন, তিনি চান না ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ হোক। ইরানের ওপর মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির নিয়ে তেহরান-ওয়াশিংটন উত্তেজনা চলার মধ্যে সৌদি তেল স্থাপনাসহ জাহাজ হামলার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। এসব হামলার ঘটনা নিয়ে আলোচনার জন্য ৩০ মে মক্কায় উপসাগরীয় ও আরব নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। সিএনবিসি, আরব নিউজ গালফ নিউজ