কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় আবারও শুরু হচ্ছে জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও ইয়াং বাংলা এর আয়োজন করছে। এবারের সেøাগানÑ ‘অবাক হচ্ছে বিশ্ব এবার, বাংলার শিশুরা প্রোগ্রামার’। জেলা পর্যায়ে ২০০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। যে কোনো বিদ্যালয়ের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য স্ক্র্যাচ ও ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাইথনের প্রোগ্রামিং নিয়ে এসব ভেন্যু থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এরই মধ্যে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। ২৬ মে পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
এর আগে এ প্রতিযোগিতায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারলেও এবার সেটি হচ্ছে না। তবে সদ্য মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবে। এ আয়োজনের অংশ হিসেবে ২২ ও ২৩ মে ঢাকার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হবে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা। এতে নির্বাচিত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের আইসিটি শিক্ষক, ইয়াং বাংলা থেকে ল্যাব কোর্ডিনেটর ও জেলা কোর্ডিনেটররা অংশ নেবেন। দুই দিনের এ কর্মশালায় পাইথন ও স্ক্র্যাচ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরপর শুরু হবে প্রতিযোগিতার জেলা ক্যাম্পিং।
প্রতি ল্যাবে ৭৫ জন করে অন্তত ১৫ হাজার শিক্ষার্থীকে এ প্রশিক্ষণের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে জানান আয়োজকরা। স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিংয়ের জন্য তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ১৫ জন করে বাছাই করে পাঁচটি দলে, একইভাবে পাইথনের জন্য ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের তিন দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে একই সঙ্গে একই সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে। তবে স্ক্র্যাচ ও পাইথনের প্রতিযোগিতা দুটি ভিন্ন দিনে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি জেলা থেকে একটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে ও সব জেলা থেকে প্রাপ্ত বিজয়ীদের নিয়ে পরবর্তী সময়ে দুই দিনব্যাপী স্ক্র্যাচ ও পাইথনের জন্য দুটি ভিন্ন জাতীয় ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে। প্রতিটি জাতীয় ক্যাম্পের প্রথম দিনে প্রশিক্ষণ এবং দ্বিতীয় দিনে জাতীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ক্যাম্পের তারিখ ও সময় পরবর্তী সময়ে জানানো হবে। সবশেষে বিজয়ীদের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হবে। তবে প্রতিযোগিতার তারিখ, ক্যাম্পিং ও চূড়ান্ত আয়োজনের তারিখ পরে জানানো হবে।
নিবন্ধনের ঠিকানা : http://nctpc.srdlict.com
