আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২০-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

চাল আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে : অর্থমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
| অর্থ-বাণিজ্য

২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগে কৃষি ও কৃষকের বাজেট নামে একটি প্রস্তাবনা অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের হাতে তুলে দেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ

কৃষকের জন্য ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে দেশে চাল আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। শুধু তাই নয়, ভর্তুকি দিয়ে হলেও চাল রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এসব কথা বলেন তিনি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার আগে কৃষি ও কৃষকের বাজেট নামে একটি প্রস্তাবনা অর্থমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। এক্ষেত্রে সরকারের বরাদ্দ ও বিশেষ গুরুত্ব প্রস্তাব হিসেবে অর্থমন্ত্রীর কাছে বেশ কিছু সুপারিশমালা তুলে ধরেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের কৃষককে বাঁচাতে হবে। সরকার থেকে যেটা করতে পারে, সেটা হলো আমদানি রেস্ট্রিক্ট (নিয়ন্ত্রণ) করতে পারে। সরকারিভাবে এই কাজটি করা হবে। তবে তা ব্যান্ড (বন্ধ) করে দেয়া যাবে না। এ বছর আমাদের অনেক বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। এদেশে যেমন বেশি উৎপাদন হয়েছে, আশপাশের দেশেও তেমনি খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে। বাইরে যদি ডিমান্ড (চাহিদা) থাকত, তবে রপ্তানি করা যেত। এখন বাইরেও চাহিদা নেই। তারপরও দেশের কৃষকদের বাঁচাতে চাল রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। একেবারেই বন্ধ করা হয়ত যাবে না।
মুস্তফা কামাল জানান, ভর্তুকি দিয়ে সবজি রপ্তানি করায় সবজির উৎপাদন বেড়েছে। সবজি অনেক হচ্ছিল। কৃষকরা দাম পাচ্ছিল না পচে যাচ্ছিল। সরকার রপ্তানির ব্যবস্থা করল। রপ্তানি খরচ দিতে পারে না বলে সেখানে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। এর কারণে সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন চার নম্বরে। রপ্তানি করার কারণে এর বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। সবজিতে দাম পাচ্ছে কৃষক। শুধু সবজি নয়, যে বছর যে পণ্য বেশি উৎপাদন হবে, সেগুলোও রপ্তানি করা হবে। তাহলে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে মিসম্যাচটা (ব্যবধান) হবে না। ন্যায্য দামটা কৃষক পাবেন। অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, উৎপাদন করে তারা যদি উৎপাদনের খরচ না পায়, তাহলে একদিকে তারা নিরুৎসাহিত হবে। সরকারকে সবদিকেই দেখতে হবে, উৎপাদনও দেখতে হবে, উৎপাদনের জন্য সহায়ক যা আছে, এগুলোরও সমাধান দিতে হবে। এটা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব। এটা অবশ্যই করণীয়। সরকার যে কৃষি যন্ত্রপাতিগুলো দেয়, সেগুলো কেউ নিতেও চায় না। অনেক ভর্তুকি দিয়ে দিতে চাইলেও কেউ নিতে চায় না। কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করে সবাইকে বলতে হবে, এতে উৎপাদন বাড়বে। ব্যয়ও কমে যাবে। এই ব্যয় কমানোর জন্যও ব্যবস্থা নিতে হবে।