আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২০-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

ট্রফি দিয়ে বিদায় রোবেন-রিবেরির

স্পোর্টস ডেস্ক
| খেলা

উৎসবের অপেক্ষায় ছিল অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনা। আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের সঙ্গে ড্র করলেই চ্যাম্পিয়ন। বায়ার্ন মিউনিখ ঘরের মাঠে বিরতি পর্যন্ত এগিয়ে থাকল ১ গোলে, দ্বিতীয়ার্ধে গোল হজম করে অবশ্য কিছুটা চাপেও পড়েছিল! কিন্তু ডেভিড আলাবা ও রেনাটো সানচেজ ২ গোল দেওয়ার পর শিরোপাটা তখনই নিশ্চিত। ফ্রাঙ্ক রিবেরি আর অরিয়েন রোবেনের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত, দুইজনই নামলেন বদলি হয়ে, বায়ার্নের হয়ে বুন্দেসলিগা নিজেদের শেষ ম্যাচে দুইজনই করলেন গোল; সব মিলিয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ৫-১ গোলের বড় জয়ে টানা সপ্তমবার বুন্দেসলিগা জিতল বায়ার্ন। বরুশিয়া ডর্টমুন্ড নিজেদের শেষ ম্যাচে বরুশিয়া মনশেনগ্লাডবাখকে হারালেও তাই আরও একবার বায়ার্নের শিরোপা উদযাপন ঠেকাতে পারেনি। মৌসুমের বেশিরভাগ সময়ও শীর্ষে থেকেও আর লিগ জেতা হলো না ডর্টমুন্ডের। চোখের জলে ভাসলেন তাদের সমর্থকরা, রোবেন ও রিবেরিও।
লিগ খেতাব আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। শনিবার অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় এক দশকেরও ওপরে প্রিয় ক্লাবের জার্সি পরে খেলতে নেমেছিলেন রোবেন ও রিবেরি। পরিবর্ত হিসেবে দুইজনে নামলেন দ্বিতীয়ার্ধে। রিবেরি গোল করলেন ৭২ মিনিটে, ৮ মিনিটের মধ্যে গোল পেলেন ডাচ তারকাও। ম্যাচ শেষে রবেন বলে গেলেন, ‘যে কোনো বিদায়ই দুঃখজনক। তবে বাস্তব মেনে নিতেই হবে। ২০০৭ সালে আমি এ ক্লাবে এসেছিলাম, মনপ্রাণ দিয়ে ক্লাবকে সাফল্য তুলে দিতে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি। সবদিক বিবেচনা করে বায়ার্ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অনেক সুন্দর স্মৃতি নিয়েই এ অধ্যায় শেষ করছি।’ রিবেরি এ ক্লাবে পা রেখেছিলেন ২০০৯ সালে। ৩৬ বছরের ফরাসি তারকা বলেন, ‘যেন মনে হচ্ছে এই তো সেদিন এখানে খেলতে এলাম। কীভাবে যে এতগুলো বছর কেটে গেল, ভাবতে গিয়ে অবাকই হয়ে যাচ্ছি। আশা করি, বায়ার্ন ভবিষ্যতেও এভাবেই সাফল্য ছিনিয়ে নেবে। কারও প্রতি অনুযোগ নেই আমার।’ পরিসংখ্যান বলছে, রোবেন-রিবেরি জুটি ২২টি বুন্দেশলিগা মৌসুমে মোট ১৮৫ গোল করেছে। দুইজনে মিলে ক্লাবকে তুলে দিয়েছেন ১৫টি ট্রফি। রোবেন-রিবেরির সঙ্গে বিদায় নিচ্ছেন রাফিনহাও। তিনি বায়ার্নে এসেছিলেন ২০১১ সালে। এ তিনজনই বায়ার্নকে বিদায় বললেও ফুটবল ছাড়ছেন না। তাদের নতুন ঠিকানা অবশ্য জানা যায়নি এখনও। তবে সেটা জার্মানিতে যে হবে না সেটা প্রায় নিশ্চিত। রিবেরি তাই বায়ার্ন ছাড়ার সময় জিতলেন ৯টি বুন্দেসলিগা, রোবেনের একটি কম। ২০১২-১৩ মৌসুমে দুইজন মিলে বায়ার্নের ট্রেবল জয়ে রেখেছিলেন বড় অবদান।৯
বিদায় বেলায় ম্যানুয়েল নয়্যারও শিরোপাটা ছেড়ে দিয়েছিলেন এ তিনজনের কাছে। তিনজনই শেষে উঁচিয়ে ধরেছেন বায়ার্নের টানা সপ্তম শিরোপাটি। আগামী সপ্তাহে জার্মান কাপ ফাইনালে লাইপজিগের মুখোমুখি হবে বায়ার্ন। বায়ার্নের হয়ে তাই শিরোপা সংখ্যাটা আরও একবার বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে তিনজনেরই।