আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২০-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

ধানে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ কৃষকের

আলোকিত ডেস্ক
| প্রথম পাতা

ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে রোববার সড়কে ধানে আগুন লাগিয়ে প্রতিবাদ করেন কৃষক - সংগৃহীত

ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কিশোরগঞ্জে ধানে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ করেছেন কৃষকরা। রোববার দুপুরে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর চৌরাস্তা মোড়ে শত শত কৃষক এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন। সড়কের ওপর ধানে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ছাড়াও ঘণ্টাব্যাপী 

মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এদিকে ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত ও কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের দাবিতে করিমগঞ্জে মানববন্ধন করে কিশোরগঞ্জ জেলা সচেতন নাগরিক সমাজ। এছাড়া দিনাজপুরে মিল মালিকদের পরিবর্তে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের দাবিতে মানববন্ধন করে ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় কৃষক সমিতি। প্রতিনিধিদের খবরÑ
কিশোরগঞ্জ : ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় ধানে আগুন ধরিয়ে প্রতিবাদ করেছেন কৃষক। রোববার দুপুরে হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর চৌরাস্তা মোড়ে শত শত কৃষক এ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন। এছাড়া ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত ও কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের দাবিতে করিমগঞ্জ ও হোসেনপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার সকালে করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে এ কর্মসূচির আয়োজন করে কিশোরগঞ্জ জেলা সচেতন নাগরিক সমাজ। এতে বক্তব্য রাখেন নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক এমরান আলী ভূইয়া, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ভূইয়া প্রমুখ। অন্যদিকে হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর চৌরাস্তায় একই দাবিতে মানববন্ধন করে স্থানীয় কৃষক অধিকার রক্ষা সংগ্রাম কমিটি। এতে বক্তব্য রাখেন কমিটির আহ্বায়ক আলাল মিয়া প্রমুখ। বক্তারা ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র চালু এবং সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান ক্রয়ের দাবি জানান। এ সময় ধান পুড়িয়ে কম মূল্যের প্রতিবাদ করেন কৃষক।
দিনাজপুর : দিনাজপুরে মিল মালিকদের পরিবর্তে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের দাবিতে রোববার মানববন্ধন করেছে ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় কৃষক সমিতি। দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হবিবর রহমান, সম্পাদকম-লীর উপদেষ্টা রবিউল আউয়াল খোকা, আবুল হোসেন, হাফিজুল ইসলাম, নারীনেত্রী মায়া রানী প্রমুখ। বক্তারা বলেন, চলতি মৌসুমে ইরি ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এ ক্ষতির হাত থেকে কৃষককে রক্ষার জন্য ৪ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তারা। দাবিগুলো হলোÑ মিল মালিক নয়, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে ধান ক্রয় করতে হবে; প্রতিটি ইউনিয়নের হাটবাজারে ধান ক্রয়কেন্দ্র চালু করতে হবে; সার, বীজ, তেল, কীটনাশক, ওষুধের মূল্য অর্ধেক কমাতে হবে এবং গ্রামগঞ্জে পল্লী রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।