গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা চৌরাস্তায় ছয় মাস আগে একটি সরকারি গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়। শৌচাগারটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করার আগেই সম্প্রতি একদিকে হেলে পড়েছে। এটি যে কোনো সময় ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। শ্রীপুর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের তথ্য মতে, শিল্পসমৃদ্ধ এলাকা হওয়ায় জেলার অন্যতম জনবহুল স্থান মাওনা চৌরাস্তা। কিন্তু এখানে দীর্ঘদিন ধরে কোনো শৌচাগার নেই। জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে এক বছর আগে উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় এখানে একটি শৌচাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। শৌচাগার নির্মাণের জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথের জায়গা নির্ধারণ করা হয়। কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে। পরে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে কার্যাদেশ দেওয়া হয় মেসার্স মোল্লা এন্টারপ্রাইজকে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শৌচাগার নির্মাণের পর যে সময় উন্মুক্ত করে দেওয়ার কথা, সে সময় মহাসড়কের পাশ দিয়ে তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন লাইন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শৌচাগারের লাগোয়া স্থানে পাইপ স্থাপনের গর্ত তৈরি করায় তা হেলে পড়েছে। মাওনা চৌরাস্তার আবাসন সামগ্রীর ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম মীর বলেন, মাওনা চৌরাস্তায় একটি শৌচাগার খুব প্রয়োজন। এর অভাবে সাধারণ পথচারীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কিন্তু এ শৌচাগার ভুল স্থান নির্বাচন করে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত হয়েছে। সড়কের পাশের ফুটপাতে তা স্থাপন না করে উড়াল সড়কের নিচে নির্মাণ করলে সরকারি অর্থ নষ্ট হতো না। মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন বলেন, জনদুর্ভোগ লাঘব ও পরিচ্ছন্ন গাজীপুর গড়তে মাওনা চৌরাস্তায় একটি শৌচাগার নির্মাণের প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকায় শৌচাগার নির্মাণের পরও তা ব্যবহার করা যায়নি। শৌচাগারের পাশ দিয়ে গর্ত তৈরি করায় তা হেলে গিয়ে এখন অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ তদবীরুর রহমান বলেন, মাওনা চৌরাস্তায় জনদুর্ভোগ লাঘবে একটি শৌচাগার নির্মাণের পর গ্যাস সঞ্চালন লাইনের জন্য গর্ত করায় শৌচাগারটি হেলে পড়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অবহিত করা হয়েছে।