চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট কম্পাউন্ডে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতি অম্লান করে রাখার উদ্দেশে স্থাপন করা হলো বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ শীর্ষক স্থাপনা। রোববার সকালে এ স্থাপনার ফলক উন্মোচন করে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। পরে মেয়র এ স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আটশ’ বর্গফুট জায়গা নিয়ে এ স্থাপনা করা হয়েছে। এ স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে সব দেশপ্রেমিক নাগরিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় এবং সাফল্যের জুগলবন্দি রচনা করা হয়েছে। সাতটি ত্রিভুজ আকৃতি মিনারের শিখর দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের সাতটি পর্যায়ের প্রতিটি এক ভাবব্যঞ্জনাতে প্রবাহিত হচ্ছে। এ সাতটি পর্যায়ের প্রতিটি সূচিত হয় বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। পরবর্তী সময়ে চুয়ান্ন, ছাপান্ন, বাষট্টি, ছেষট্টি ও ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অগ্রসর হয়ে একাত্তরের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। এছাড়া এ স্থাপনায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এবং বঙ্গবন্ধু জন্ম ও শাহাদাৎবরণের ইতিহাস সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এ স্থাপনার মূল পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে মূল দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যক্ষ প্রকৌশলী নুরুল কবির। ঢাকা স্মৃতিসৌধের আদলে ছোট আকারে একখ- বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ মিনার স্থাপন করা হয়েছে। এ স্মৃতিসৌধের উচ্চতা ১৬ ফুট। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আবদুর রহমান। সভায় সাবেক অধ্যক্ষ নুরুল কবীর, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এএম মহিউদ্দিন, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইএমসির সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ছাত্র দেওয়ান মাকসুদ, ইঞ্জিনিয়ার এমএ রশিদ, মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিনসহ ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।