আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

সমস্যায় নিটওয়্যার ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
| অর্থ-বাণিজ্য


৮৫ শতাংশ দেশীয় উৎপাদিত পণ্য দিয়ে তৈরি বাংলাদেশ নিট গার্মেন্ট শিল্প। প্রতি বছর এ শিল্প থেকে ১৭ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন হচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এত বিপুল পরিমাণ অবদান রাখার পরও নিট শিল্প ব্যবসায়ীরা ধুকছেন নানা সমস্যায়। এজন্য ব্যবসায়ীরা নিট ব্যবসায়ী সংগঠন বিকেএমইএ’র উদাসীনতা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যবসায়ী সম্মেলনে অনুপস্থিতি কারণে ব্যাপক সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছেন। আমদানি-রপ্তানি থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক অ্যাকোর্ড অ্যালেয়েন্স লাইসেন্স নেই, বন্ড লাইসেন্স, ডাইস কেমিক্যাল, চিটাগাং পোর্টে নিট পণ্য রপ্তানি ও আমদানি করতে গিয়ে পদে পদে হয়রানি হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। 
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে জানান, দেশের ওভেন গার্মেন্টগুলোর উৎপাদনে প্রায় ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ অন্যান্য পণসমাগ্রী বিদেশ থেকেই রপ্তানি করে আনে। কিন্তু ব্যতিক্রম নিট গার্মেন্ট। এ শিল্পটি ৮৫ শতাংশ গার্মেন্ট পণ্য উৎপাদনে দেশীয় উৎপাদিত পণ্য থেকেই উৎপাদন করে থাকে। ১৫ শতাংশ বিদেশি ক্রেতাদের নির্ধারিত পণ্য আমদানি করা হয় নিট শিল্পে। এ শিল্পটির ওপর নির্ভরশীল বিভিন্ন গার্মেন্ট অ্যাকসোসরিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নিয়ম মতে শিল্পটির বিভিন্ন সমস্যায় সহযোগিতা করবে বিকেএমইএ। কিন্তু এ সংগঠনটি আশানারূপ ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়াতে পারেনি। এদিকে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রানা প্লাজা ধসের পর অন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক কমিউিনিটি শিল্প ভবন নির্মাণে অ্যাকোর্ড অ্যালায়েন্স বিশেষ বিল্ডিং কোড আইন মানতে বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকে বিকেএমইএ। ফলে নিট ব্যবসায়ীরা ব্যবসার ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন। ইউরোপিয়ান অর্ডার পেতে হলে গার্মেন্ট ব্যবসায়ীদের এ অ্যাকোর্ড অ্যালেয়ান্সে লাইসেন্সটি বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রেও ব্যাপক সমন্বয়হীনতার কথা বললেন ব্যবসায়ীরা। 
অন্যদিকে নিট পণ্য রপ্তানি করতে গিয়ে নানা সমস্যায় ভুগছেন ব্যবসায়ীরা। চিটাগাং পোর্ট দিয়ে নিট পণ্য রপ্তানি করতে পদে পদে হয়রানি হতে হচ্ছে। বিভিন্ন ডুকমেন্ট বৈধ কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও ব্যবসায়ীদের নানা অজুহাতে হয়রানি করা হচ্ছে। এমনও দেখা গেছে পণ্য রপ্তানি করে সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও ব্যাংক সলভেন্সির জামানত ফেরত দিচ্ছে না ব্যাংক। এতে বিশাল অঙ্কের টাকা পড়ে আছে ব্যাংকে। এছাড়া ডাইস কেমিক্যাল আমদানি, বন্ড লাইসেন্স নিতে পদে পদে নিট ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে নিট ব্যবসায়ী সংগঠন বিকেএমইএ এর দ্বারস্থ হয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। 
ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিকেএমইএ সচিব সুলভ চৌধুরী বলেন, আমি এক বিষয়ে কিছু জানি না। এছাড়া আমাদের কাছে এমন কোনো অভিযোগও নেই। বিকেএমই ভালো চলছে। ব্যবসায়ীদের সমস্যাগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করে সমাধান করা হচ্ছে।