আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

রপ্তানিতে নগদ সহায়তা

১ হাজার ১১৯ কোটি টাকা ছাড়

সাখাওয়াত হোসেন
| অর্থ-বাণিজ্য

রপ্তানি নগদ সহায়তার চতুর্থ কিস্তির ১ হাজার ১১৯ কোটি টাকা রপ্তানিকারকদের অনুকূলে ছাড় করেছে অর্থ বিভাগ। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে অর্থ বিভাগের অধীনে ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার আওতায় এ অর্থ ছাড় করা হয়েছে। ১৩ মে অর্থ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত চিঠি ইস্যু করেছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি ব্যবস্থাপনা কোডের আওতায় পাটজাত দ্রব্যাদি খাতের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে চতুর্থ কিস্তির ১১৯ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। এছাড়া রপ্তানি ভর্তুকি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে তৃতীয় কিস্তির ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়া করা হয়েছে। দুটি কোডে মোট ১ হাজার ১১৯ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে ছাড় করা হয়েছে।
পাটজাত পণ্য রপ্তানিকারকদের ভর্তুকির অর্থ উত্তোলনে নিজ নিজ ব্যাংকে যোগাযোগের জন্য সদস্য মিলগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ)। অ্যাসোসিয়েশনের সচিব আবদুল বারিক খান ১৬ মে সদস্য মিলগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, পাটপণ্যের রপ্তানির ভর্তুকি বাবত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে চতুর্থ কিস্তির (এপ্রিল থেকে জুন ২০১৯) পর্যন্ত ১১৯ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। সদস্য মিলগুলোকে পাটপণ্যের রপ্তানি ভর্তুকি আদায় করার জন্য নিজ নিজ ব্যাংকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
ছাড়কৃত অর্থ উত্তোলনে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ছাড়কৃত অর্থের ভিত্তিতে হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ) ডেবিট অথরিটি জারি করবে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে পাওয়া ভর্তুকি দাবির বিপরীতে সময় সময় বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি হিসাব ডেবিট করে রপ্তানি ভর্তুকির অর্থ পরিশোধ করতে পারবে। এক্ষেত্রে শর্ত দেওয়া হয়েছে, চতুর্থ কিস্তিতে ছাড় করা টাকা দিয়ে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের অনুকূলে খাতভিত্তিক নগদ সহায়তা বা ভর্তুকি পরিশোধ করতে হবে। ভর্তুকির দাবি পরিশোধের পর নিরীক্ষায় পাওয়া অর্থের চেয়ে বেশি পরিশোধ হয়েছে প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্ট অর্থ আদায়পূর্বক গ্রহীতার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে অর্থ বিভাগকে অবহিত করতে হবে। এ অর্থ ব্যয়ে প্রচলিত সব আর্থিক বিধিবিধান ও অনুশাসনাবলি এবং বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তা প্রদানের নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
আরও বলা হয়েছে, রপ্তানি ক্ষেত্রে নগদ সহায়তা গ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংকে অঙ্গীকারনামা প্রদান করতে হবে, প্রাপ্যতার অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণ বা অন্য কোনো অনিয়ম পরে পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন। শুধু প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ সংযুক্ত তহবিল থেকে উত্তোলন করা যাবে।