আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

বিআইবিএমের গবেষণা কর্মশালা

অর্থ পাচার রোধে ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব ডেটা ব্যাংক করার পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক
| অর্থ-বাণিজ্য

বাণিজ্যকেন্দ্রিক অর্থ পাচার রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার অপেক্ষায় না থেকে ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব ডেটা ব্যাংক গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে এ ডেটা ব্যাংক অন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেদের কাজে ব্যবহার করতে পারে তার উদ্যোগও নিতে হবে। অর্থ পাচার রোধে ব্যাংকের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং অন্যান্য সংস্থাকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সোমবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) অডিটরিয়ামে ‘অ্যাড্রেসিং ট্রেড বেজড মানি লন্ডারিং ইন বাংলাদেশ : অ্যান অ্যাসেসমেন্ট’ শীর্ষক এক গবেষণা কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিআইবিএমের ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদার সভাপত্বিতে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এসএম মনিরুজ্জামান। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্যে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক ও পরিচালক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান বলেন, বাণিজ্যকেন্দ্রিক অর্থ পাচার রোধে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি গাইড তৈরি করছে, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সারা বিশ্বে এখন অর্থ পাচার একটি চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশও এর আওতার বাইরে নয়। এ সমস্যা মোকাবিলায় সব সংস্থাকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও জনশক্তি নেই। এদিকে নজর দিয়ে ব্যাংকারদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর নির্ভর না করে প্রত্যেক ব্যাংকের নিজস্ব ডেটা ব্যাংক করতে হবে, যা অন্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারে।
পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, অর্থ পাচার প্রতিরোধে ব্যাংক এবং সব স্টেকহোল্ডারের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন। ব্যাংকের এডি শাখাগুলোকে সুষ্ঠু মনিটরিং করতে হবে। একই সঙ্গে পর্যাপ্ত দক্ষ জনবল দিতে হবে। ব্যাংকারদের ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি ট্রেডের খুঁটিনাটি জানাতে হবে। বাণিজ্য পণ্যের মূল্য নির্ধারণে ব্যাপারে বিদেশি সংস্থার সহায়তা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, ক্রেডিট রিপোর্ট ব্যাংকারদের ভালোভাবে জানতে হবে। প্রত্যেক ব্যাংক এলসি খোলার ডেটাবেজ করলে অর্থ পাচার রোধে গুরুত্বপূর্ণ আইন করার সময় ব্যাংকিং অপারেশনে কোনো ক্ষতি না হয়, সে দিকটি বিবেচনায় রাখতে হবে। ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফারুক মাঈনুদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রাহক এবং ব্যাংকার সব পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে। অর্থ পাচারের পেছনের কারণগুলো খুঁজে বের করতে হবে।