বিশ্বকাপের জন্য পাকিস্তানের প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন না আসিফ আলী। আইসিসির নিয়মানুযায়ী ২৩ মে পর্যন্ত দল পরিবর্তন করার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলভূক্ত করেছে পাকিস্তান। রোববার ইংল্যান্ডের কাছে ৫ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে আসিফ ব্যাট হাতে করেন ১৭ বলে ২২ রান, তবে পাকিস্তান হারে ৫৪ রানে।
তবে বড় দুঃসংবাদ শুনতে হলো তাকে ম্যাচ শেষে- পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে শিশুকন্যা নুর ফাতিমা। একজন বাবার জন্য এরচেয়ে কষ্ট আর কি হতে পারে? ইংল্যান্ডে তিনি খেলছেন দেশের জন্য, আর যুক্তরাস্ট্রে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছিল মেয়ে। বুকে পাহাড়সমান কষ্ট নিয়ে খেলেছেন আসিফ, শেষ পর্যন্ত শুনলেন আদরের সেই কন্যা পৃথিবীতে নেই। অন্য সময় হলে সিরিজ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতেন আসিফ, কিন্তু এ সময় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া পাকিস্তানি মিডল অর্ডারের জন্য ভীষণ কঠিন ছিল।
কয়েক মাস আগে ক্যান্সার ধরা পড়ে আসিফের মেয়ের। বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাননি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ডাক পেয়ে তাই দ্বিতীয় ভাবনার সুযোগ ছিল না। অসুস্থ মেয়েকে হাসপাতালে রেখে আসিফ পারি দেন ইংল্যান্ডে। শেষ ওয়ানডেতে ক্রিজে থাকতে মনের সঙ্গে তাকে কতটা যুদ্ধ করতে হয়েছে, একজন বাবা ছাড়া বোধ হয়ে সেটা কেউই উপলব্ধি করতে পারবেন না।
মাঠে নামার কয়েক ঘন্টা আগে যুক্তরাস্ট্রে গুরুতর অবস্থায় তার মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নেয়া হয়, খবর শুনে মাঠে নামেন আসিফ। তারও আধা ঘন্টা আগেই পরপারে পারি জমিয়েছে কন্যা।
ট্রাজিক এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকে। মেয়ের মৃত্যুর খবর পরে জেনেছেন আসিফ, শেষবারের মতো তার মুখটা দেখতে পারেননি। মেয়ের অসুস্থতার খবর অনেক দিন ধরে বুকে চেপে রেখেছেন আসিফ। এরই মধ্যে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে পাকিস্তান সুপার লিগে খেলেছেন। এরপর জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে মনকে শক্ত রেখে মাঠে খেলে গেছেন।
জীবন কখনও কখনও খুব নিষ্ঠুর। জীবিকার তাগিদে কখনও এমন কিছু মেনে নিতে হয়, যা আসলে মেনে নেয়ার মতো ন!