পাকিস্তানের গণমাধ্যম আগেই ফাঁস করেছিল মোহাম্মদ আমির ও আসিফ আলী বিশ্বকাপে ১৫ জনের দলে সুযোগ পেতে পারেন। তবে চমক হয়ে এসেছে ওয়াহাব রিয়াজের নাম। তাকে জায়গা দিতে গিয়ে সরে যেতে হয়েছে জুনাইদ খানকে। সেই সঙ্গে বাদ পড়েছেন ফাহিম আশরাফ ও আবিদ আলী।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্রই পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-০ তে হেরেছে পাকিস্তান। ব্যাটসম্যানরা রান পেয়েছেন, প্রথম ৩ ম্যাচেই পাকিস্তান ৩৪০-এর বেশি রান করেছে। শেষ ম্যাচেও (২৯৭) ৩০০ ছুঁই ছুঁই রান ছিল। কিন্তু তারপরও সব কয়টি ম্যাচেই হেরেছে, ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা জুনাইদদের পাড়ার বোলারদের পর্যায়েই নামিয়ে এনেছেন, কম- বেশি সব বোলারই ধুঁকেছেন, তবে কোপটা শেষ পর্যন্ত গেছে জুনাইদ ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফের ওপর।
সিরিজে অবশ্য মোহাম্মদ আমিরেরও খেলার কথা ছিল। কিন্তু চিকেন পক্সের কারণে ছিলেন না। বিশ্বকাপের আগে আর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন না, আমির আদৌ জায়গা পাবেন কি না, সেটি নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পেসারদের ব্যর্থতা আর ইংল্যান্ডের মাঠে আমিরের নৈপুণ্য শেষ পর্যন্ত কাজ করেছে তার পক্ষে। ওয়াহাব রিয়াজ প্রায় দুই বছর ওয়ানডে খেলেননি, কাকতালীয়ভাবে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এই ইংল্যান্ডেই। পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হক বলেছেন, পেসারদের ব্যর্থতার পর ওয়াহাব ও আমিরের অভিজ্ঞতা উপেক্ষা করতে পারেননি তারা।
আসিফ আলী সে অর্থে চমক না, বিশ্বকাপ স্কোয়াডে না থাকলেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চারটি ম্যাচে খেলেছেন, প্রথম দুটি ম্যাচে ফিফটি পেয়েছেন। ছয়-সাতে একজন পাওয়ার হিটারের দরকার থেকে তাকে দলে নেওয়াÑ ইনজামাম ব্যাখ্যা করেছেন কারণ। নিয়তির পরিহাস বটে, মাত্র ক্যান্সারে মেয়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে গেছেন তিনি। তাকে জায়গা দিতে গিয়ে সরে যেতে হয়েছে আবিদ আলীকে, মাত্র একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ইংল্যান্ড সিরিজে, কাজে লাগাতে পারেননি আবিদ। ইনজামাম বলেছেন, আবিদের বাদ পড়াটা দুর্ভাগ্যজনক। হাফিজ ও হারিস সোহেল থাকায় তৃতীয় ওপেনারের বদলে তারা ছয়-সাতে একজন বাড়তি ব্যাটসম্যানের কথাই ভেবেছেন।