ঈদ উৎসব যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে নগরীর যানজট। এরই মধ্যে নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটায় পোশাক বাজারে আসা সাধারণ মানুষ জটের সম্মুখীন হচ্ছেন। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে মেট্রোপলিটন পুলিশ অস্থায়ী ডিভাইডার আকস্মিক সরিয়ে ফেলাকে দায়ী করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩০ জন অতিরিক্ত জনবল চাওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টায় একদিকে তীব্র গরম আর অন্যদিকে যানজটে হাঁসফাঁস করছিলেন নগরীর সাধারণ যাত্রীরা। সদর রোড, চকবাজার, গীর্জা মহল্লা, ফজলুল হক এভিনিউয়ে তীব্র যানজট সৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়ে ট্রাফিক পুলিশ। অনেকটা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ঈদ বাজার। এ সময় একটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় আরও দুর্ভোগে পড়তে হয়। শারমিন আক্তার নামে নগরীর কাশিপুর এলাকার এক গৃহিণী জানান, তিনি ঈদের বাজার করতে এসেছেন। কিন্তু যানজটে চকবাজারে ঢুকতে আধা ঘণ্টা সময় লেগেছে। তিনি বলেন, এ গরমে যানজটে অনেক কষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষের। পুলিশ বিভাগের যানজট রোধে আগেভাগে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।
এদিকে একই চিত্র দেখা গেছে রোববার। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলখানার মোড় থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন কর্মজীবীরা। চলতি সপ্তাহ থেকে এ যানজট নিয়ন্ত্রণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ট্রাফিক বিভাগ। জানতে চাইলে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক (প্রশাসন) শামসুল আলম বলেন, রমজান ও ঈদের আগে যানজট নিয়ন্ত্রণে তাদের পরিকল্পনা প্রাথমিকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে পোশাকবাজার খ্যাত চকের পুল থেকে ফলপট্টি পর্যন্ত যানজট বেশি হলে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ২০ রমজান থেকে এটি পুরোপুরি কার্যকর হবে। গীর্জা মহল্লা, নগরভবন, সদর রোডভিত্তিক দুটি মোবাইল টিম কাজ করছে। এছাড়া নথুল্লাবাদ ও রুপাতলী বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাট এলাকায় ট্রাফিক কার্যক্রম গতিশীল করা হয়েছে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে ঈদের বাজার করতে সদর রোড থেকে গীর্জা মহল্লা, চকবাজারে লোকজন প্রবেশ করছে। কিন্তু ভিড়ে যানজটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সদর রোডসহ বিভিন্ন সড়কে যে ডিভাইডার ছিল তাও কে বা কারা সরিয়ে ফেলেছে। এতে ট্রাফিক ব্যবস্থা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। এটি থাকলে এ ঈদে জনগণ স্বাচ্ছন্দ্যে বের হতে পারত। যদিও সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা সভায় ঈদের আগে এসএসের ডিভাইডার করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
পরিদর্শক (প্রশাসন) শামসুল আলম বলেন, ট্রাফিক বিভাগে তাদের মোট ফোর্সের পদ রয়েছে ১৮৭টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ১৪০ জন। এ অবস্থায় জনবল সংকট ঠেকাতে বিএমপির কাছে আরও ৩০ জন জনবল চাওয়া হয়েছে।