আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

ডামের নেতৃত্বে চলা জরিপের ফল

রাজশাহী বিভাগের ৮৩ শতাংশ স্কুলের পাশেই তামাকপণ্য!

রাজশাহী ব্যুরো
| শেষ পাতা

রাজশাহী বিভাগের ৮৩ শতাংশ স্কুলের পাশেই পাওয়া যায় তামাকপণ্য। মুদি ও ভ্রাম্যমাণ দোকানে তা দেদার বিক্রি হচ্ছে। রাজশাহীর ৭৭ শতাংশ স্কুলের পাশে রয়েছে ক্ষুদ্র মুদির দোকান। আর স্কুলের সামনে রাস্তার পাশে তামাকের দোকান ১২ এবং ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা পাওয়া গেছে ৩ শতাংশ।

এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ‘ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস’ এর সহায়তায় এবং ‘ঢাকা আহ্্ছানিয়া মিশন’ (ডাম) এর নেতৃত্বে উন্নয়ন সংস্থা এসিডি, ইপসা, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন এবং উবিনিগ যৌথভাবে ‘বিগ টোব্যাকো টিনি টার্গেট’ শিরোনামে শিশুদের প্রতি তামাক কোম্পানির বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণে ২০১৭ সালে জরিপটি পরিচালনা করে। রোববার জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়।

রাজশাহীর উন্নয়ন সংস্থা এসিডি জানায়, গবেষণাটি বাংলাদেশসহ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায়ও একসঙ্গে পরিচালিত হয়। ওই গবেষণা প্রতিবেদনের ফলে রাজশাহী বিভাগে ৮৩ শতাংশ স্কুলের পাশেই তামাকপণ্য বিক্রির চিত্র পাওয়া গেছে। আর ৮৬ শতাংশ তামাকপণ্যের দোকানে শিশুদের দৃষ্টির সমান্তরালে (আনুমানিক ১ মিটার) তামাকজাতদ্রব্য প্রদশির্ত হচ্ছে। চকলেট এবং খেলনার পাশে তামাকজাতদ্রব্য বিক্রি করতে দেখা যায় এসব দোকানে।

এছাড়া রাজশাহী বিভাগের স্কুল ও খেলার মাঠের পাশে ৮৫ শতাংশ তামাকপণ্যের দোকানে তামাকের বিজ্ঞাপন পরিলক্ষিত হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ শতাংশ তামাকপণ্যের দোকানে স্টিকার, ডামি প্যাকেট, ফেস্টুন ও ফ্লায়ারসের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে। পোস্টারের মাধ্যমেও ৪৭ শতাংশ তামাকপণ্যের দোকানে বিজ্ঞাপন পরিলক্ষিত হয়েছে।

এছাড়া তামাক ক্রয়ে অনুপ্রেরণা জোগাতে ৫৮ শতাংশ তামাকপণ্যের দোকানে বিনামূল্যে নমুনা, ৩৯ শতাংশ তামাকপণ্যের দোকানে পুরস্কার-প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। এছাড়া রাজশাহী বিভাগের ৯৭ শতাংশ দোকানে একক শলাকা সিগারেট বিক্রি হয় বলে গবেষণার ফলে দেখানো হয়েছে। এসিডির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান সজল জানান, জরিপে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা খুবই উদ্বেগজনক। তাই শিশু, কিশোর ও যুবসমাজকে তামাক থেকে দূরে রাখার জন্য জরিপের ভিত্তিতে তারা একটি সুপারিশ তৈরি করছেন। শিগগিরই সেটি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।