আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

২০৩৩-এ মঙ্গলে যাচ্ছে নাসা?

আলোকিত ডেস্ক
| শেষ পাতা

১৯৬৯ সাল, চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন নিল আর্মস্ট্রং এবং এডুইন অলড্রিন। এরপর দীর্ঘ ৫০ বছর কেটে গেছে। পুরোনো সেই মুহূর্ত ফিরিয়ে আনতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসাও। ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর একটি নির্দেশিকায় স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। নির্দেশিকার বক্তব্য ছিল এ রকমÑ চাঁদে ফের মানুষ পাঠানো হোক এবং তার পরের গন্তব্য হবে মঙ্গল। নাসা জানিয়েছে, সব ঠিক থাকলে ২০২৪ সালে ফের চাঁদে পাড়ি দেবেন মহাকাশচারীরা। আর মঙ্গলে ২০৩৩ সালে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০৩৩ সালের মধ্যে লালগ্রহে পা ফেলা খুবই কঠিন। এক রকম অসাধ্য সাধন করতে হবে বিজ্ঞানীদের।
সম্প্রতি একটি সম্মেলনে নাসার অন্যতম কর্মকর্তা জিম ব্রাইডেনস্টাইন বলেন, নতুন চন্দ্রাভিযানে আমাদের দক্ষতা, ক্ষমতা প্রমাণ করতে হবে। সেখানে সফল হলে পরবর্তী লক্ষ্য মঙ্গল। হিউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারের অন্যতম বিশেষজ্ঞ রবার্ট হাওয়ার্ডের মতে, বিষয়টি বিজ্ঞান কিংবা প্রযুক্তিগতভাবে যত না জটিল, তার চেয়েও বেশি চিন্তার বিশাল অঙ্কের খরচ। তাছাড়া রাজনৈতিক বাধার মুখেও পড়তে হতে পারে। দেশের সরকার এমন অভিযানে কতটা ইচ্ছুক, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। তিনি বলেন, বহু মানুষ চান সেই ‘অ্যাপোলো মোমেন্ট’ এর স্বাদ নিতে। কিন্তু তার জন্য কেনেডির মতো প্রেসিডেন্ট চাই। দেশের মানুষকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে। তবে ২০২৪ নয়, ২০২৭ সাল তো হয়েই যাবে, বলছেন হাওয়ার্ড। কারণটাও ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, মহাকাশযানের নকশা তৈরি, এরপর যান নির্মাণ, বিভিন্ন পরীক্ষা, এসব তো রয়েইছে। চাঁদে পাড়ি দেওয়ার পর পৌঁছতে লাগবে তিন দিন। কিন্তু মঙ্গলে পৌঁছতে কমপক্ষে ছয় মাস। গোটা অভিযান শেষ করতে দুই বছরের বেশি। ২৬ মাস অন্তর মঙ্গল ও পৃথিবী সবচেয়ে কাছে আসে। মঙ্গলে পাড়ি দেওয়ার জন্য ওই সময়টাই সেরা। বিজ্ঞানীদের একাংশ অবশ্য খরচের থেকে অন্য বিষয়ে বেশি চিন্তিত। নাসার বিজ্ঞানী জুলি রবিনসন বলেন, দ্বিতীয় চিন্তা হচ্ছে, খাবার। অত দিনের জন্য খাবার ব্যবস্থা রাখতে হবে। তাছাড়া কেউ অসুস্থ হলে নিজেদের দেখভাল, প্রাথমিক চিকিৎসা প্রক্রিয়া জানতে হবে। মহাকাশচারীদের পোশাকও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তেজস্ক্রিয় বিকিরণ থেকে বাঁচার মতো পোশাক চাই। এর ওপর টানা দুই বছর জনমানববর্জিত হয়ে থাকাও চিন্তার বিষয়।