রাজধানীর বিএসটিআই ভবনে সোমবার বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনসহ অতিথিরা -আলোকিত বাংলাদেশ
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, পণ্যের মান এবং পরিমাপ সম্পর্কিত যে কোনো ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে বিএসটিআইকে আপসহীন হতে হবে। জাতীয় মান নির্ধারণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পণ্য ও সেবার গুণগত মান সুরক্ষা বিএসটিআইয়ের দায়িত্ব। সব ধরনের ভয়-ভীতি, প্রলোভন ও ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ বা নিম্নমানের পণ্যের ক্ষেত্রে ‘ম্যানেজ’ করার দিন শেষ। এজন্য পণ্যের মানের বিষয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনকে (বিএসটিআই) জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। সোমবার রাজধানীর বিএসটিআই ভবনে বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘আন্তর্জাতিক পদ্ধতির একক মৌলিকভাবে উত্তম’।
শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসটিআই মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন। সভায় আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিএসটিআইয়ের পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা। শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই বিএসটিআইকে একটি শক্তিশালী ও আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে উন্নীত করার নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। প্রতিষ্ঠানটির টেস্টিং রিপোর্ট আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য করতে এরই মধ্যে বেশকিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, পণ্যের মান এবং ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিত করতে জেলা পর্যায়ে বিএসটিআইয়ের অফিস সম্প্রসারণ করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের জনবল বৃদ্ধি এবং পণ্যের উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের সৎ থাকতে হবে। ওজন ও পরিমাপে কারচুপি এবং পণ্যে ভেজাল না দেওয়ার শপথ নিতে তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।
শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম বলেন, বছরের শুরু থেকেই বিএসটিআইয়ের কার্যক্রমে গতি এসেছে। ছুটির দিনেও সংস্থাটির লোকজন কাজ করছেন। সম্প্রতি বিএসটিআই ৫২টি নিম্নমানের পণ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে। হাইকোর্ট এ বিষয়ে কিছু নির্দেশনাও দিয়েছেন। বিএসটিআই তার সীমিত জনবল দিয়ে সর্বোচ্চ সেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করছে। এ সময় প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ১০ বছরে বিএসটিআইয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- এবং আন্তর্জাতিক অর্জনের বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরি, প্রোডাক্টস সার্টিফিকেশন সিস্টেম এবং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্টিফিকেশন এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ফলে এসব পণ্যের অনুকূলে বিএসটিআইয়ের মান সনদ আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত সম্প্রতি বাংলাদেশের ২১টি পণ্যের অনুকূলে বিএসটিআই প্রদত্ত মানসনদ গ্রহণ করেছে। আরও কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।