সুন্দরবন সংলগ্ন দাকোপের বানিশান্তা, আইলাবিধ্বস্ত কয়রার আংটিহারা ও দাকোপের সুতারখালীর সহস্রাধিক পরিবারে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে গেছে। জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সাত ইউনিয়নে শতভাগ বিদ্যুৎ পৌঁছবে আগস্ট মাসে। দাকোপ উপজেলায় সেপ্টেম্বরে, কয়রা ও পাইকগাছার ১৭ ইউনিয়নে বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলবে ডিসেম্বরে। জেলার ২৩ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাবেন এ বছরই। চাহিদা মেটাতে তিনটি সাব-স্টেশনের কাজ শেষ হবে আগস্টে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খুলনার ৬৮ ইউনিয়নের মধ্যে ৫৭টি এবং চালনা ও পাইকগাছা পৌর এলাকায় ১৭ লাখ মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পেয়েছে। বাকি ৬ লাখ মানুষের জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রেখেছে। এ পর্যন্ত ২ লাখ ৭৫ হাজার ৩৫২ গ্রাহকের কাছ থেকে প্রতি মাসে ১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করা হচ্ছে।
খুলনা পল্লী বিদ্যুতের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. সাঈদ হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান, ডিসেম্বর নাগাদ ৩ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুতের সুবিধা পাবেন। জেলার ফুলতলা বাদে বাকি ৮ উপজেলায় প্রতিদিনের বিদ্যুতের চাহিদা ৫৮ মেগাওয়াট। আগামী বছর নাগাদ বিদ্যুতের চাহিদা হবে ৭৬ মেগাওয়াট। সেই লক্ষ্যে বটিয়াঘাটা উপজেলার আমিরপুরে, দাকোপ উপজেলার বাজুয়ায় এবং ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারোমাইল ও গুটুদিয়ায় সাব-স্টেশনের নির্মাণকাজ চলছে। এ বছর আগস্ট নাগাত এসব সাব-স্টেশন থেকে আরও ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
সমিতির অন্য সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য প্রতি মাসে গড়ে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার আবেদন জমা পড়ছে। আবেদনের পর আবাসিক গৃহে এক সপ্তাহের মধ্যে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে ২৮ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। জেলার রূপসা উপজেলায় আইচগাতী, ঘাটভোগ, শ্রীফলতলা, দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট ও বারাকপুর, তেরখাদা উপজেলার বারাসাত, মধুপুর, সাচিয়াদাহ, ছাগলাদাহ, আজগড়া, বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা, সুরখালী, গঙ্গারামপুর, আমিরপুর, বালিয়াডাঙ্গা, দাকোপ উপজেলার কামারখোলা, তিলডাঙ্গা, ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর, ভা-ারপাড়া, গুটুদিয়া, ধামালিয়া, রুদঘরা, কয়রা উপজেলার মহেশ্বররীপুর, আমাদী, চালনা পৌরসভায় এলাকায় বরফকল, স’মিল, রাইস মিল, তেলকল, পোলট্রি ফার্ম ও বোরো সেচ সুবিধা হয়েছে।