বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে সোমবার দিনব্যাপী ‘আলু ও মিষ্টি আলুর উন্নত জাত ও উৎপাদন কলাকৌশল’ শীর্ষক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি এবং বিভিন্ন এনজিও থেকে ৩০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক পরিচালিত ‘উদ্ভাবিত আলু ও ভিটামিন সমৃদ্ধ মিষ্টি আলুর নতুন জাতগুলোর প্রজনন বীজ উৎপাদনে প্রদর্শনীর মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও গবেষণাভিত্তিক কর্মসূচি’ প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষক কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
সকালে ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. একেএম শামছুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি ইনস্টিটিউটের পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মদন গোপাল সাহা, কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. হরিদাস চন্দ্র মোহন্ত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বারি কর্তৃক আলু ও মিষ্টি আলুর বেশ কিছু নতুন জাত উদ্ভাবিত হয়েছে, যা অধিক পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং রোগ প্রতিরোধী। আমাদের কৃষক যেন নতুন এ জাতগুলো সম্পর্কে জানতে পারেন, সেজন্যই এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন। পাশাপাশি বর্তমানে আমাদের দেশে চাহিদার তুলনায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন বেশি আলু উৎপাদিত হচ্ছে। এ উদ্বৃত্ত আলুর সঠিক ব্যবহার একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আলুর বহুবিধ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যেন এসব আলু রপ্তানি করতে পারি, সেদিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি দেশে পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আলুর পাশাপাশি কমলা/রঙ্গিন শাঁসযুক্ত মিষ্টি আলু দিয়ে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য তৈরি করে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি