সোনিয়া গান্ধী মায়াবতী
লোকসভা নির্বাচনের বুথফেরত জরিপ প্রকাশ হওয়ার পর ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক বাতিল করলেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির (বিএসপি) প্রধান মায়াবতী। বিএসপির তরফ থেকে এ কথা সাফ জানিয়ে দেওয়া হলো। সোমবার দিল্লিতে সোনিয়ার সঙ্গে বৈঠক করার কথা ছিল মায়াবতীর। পাশাপাশি সোনিয়াপুত্র রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক করার কথা ছিল তার। বিএসপির অন্যতম শীর্ষনেতা সতীশ চন্দ্র মিশ্র জানান, সোমবার মায়াবতীর দিল্লিতে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তিনি লক্ষেèৗতে থাকবেন। সোনিয়া-রাহুলের সঙ্গে মায়াবতীর বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক আঙিনায় তুমুল উৎসাহ ছিল। তবে শেষমেশ তা ভেস্তে যাওয়ায় অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠছে, মহাজোটের ভবিষ্যৎ টালমাটাল নয় তো?
লোকসভা নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে সরকার যাতে গড়তে না পারে, সে নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়। সব আঞ্চলিক দলের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে কয়েকদিন ধরেই সূত্রধরের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে। দিল্লিতে এসে কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের সঙ্গে বৈঠক, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি থেকে শুরু করে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারসহ একাধিক নেতানেত্রীর সঙ্গে কথাবার্তা হয় তার। লক্ষেèৗতে গিয়েও অখিলেশ যাদব ও মায়াবতীর সঙ্গে দেখা করেন চন্দ্রবাবু। এর পরপরই শোনা যাচ্ছিল, মায়াবতীর সঙ্গে সোনিয়ার বৈঠক হতে পারে।
চন্দ্রবাবু ছাড়াও সোনিয়া ব্যক্তিগত স্তরে উদ্যোগী হয়ে ইউপিএ শরিকদের সঙ্গে কথা বলতে নির্দেশ দেন দলীয় নেতাদের। কারণ বুথফেরত জরিপে যতই নিরাশা জুটুক না কেন, সহজে হাল ছাড়তে নারাজ ইউপিএ তথা মহাজোটের কা-ারিরা। ২৩ মে নির্বাচনের ফলে বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের হাত বাড়াতে হবে কে চন্দ্রশেখর রাও, জগন্মোহন অথবা নবীন পট্টনায়কদের দিকে। সে প্রচেষ্টায় আগেই জল ঢেলে দিতে চায় না কংগ্রেস তথা মহাজোট। তবে এদিন মায়াবতী দিল্লি সফর না হওয়ার কার্যত তাতে ধাক্কা লেগেছে।