আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

সিলেটে মৌসুমি ফলের সমাহার : দামও চড়া

সিলেট ব্যুরো
| নগর মহানগর

মধুমাসের শুরুতেই সিলেটের বাজারে উঠতে শুরু করেছে হরেক রকমের মৌসুমি ফল। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, জামরুল ও আনারসে ভরে গেছে পুরো শহর। একই সঙ্গে রয়েছে তরমুজ, বাঙ্গিসহ বিদেশি নানা ধরনের ফলও। পাল্লা দিয়ে মৌসুমি ফল বাজারে আসতে শুরু করলেও তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বিশেষ করে সাধারণ বাজারের সঙ্গে সুপারশপগুলোয় বিক্রি করা ফলে দামে বেশ ফারাক রয়েছে। তবে রমজান মাস হওয়ায় বেশি দাম দিয়ে হলেও মধুমাসের ফলের স্বাদ নিচ্ছেন ভোক্তারা।
বিক্রেতারা জানান, রাজশাহীতে সবেমাত্র আম ভাঙা শুরু হওয়ায় এর দাম একটু বেশি। রাজশাহী অঞ্চলের লিচু এখনও আসছে না, যে কারণে লিচুর পরিপূর্ণ স্বাদ পেতে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে সিলেটবাসীকে। তাদের মতে, বাজারে আম ও লিচু যত বেশি আসবে, দামও তত কমবে। বিভিন্ন ফলের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহীর গুটি আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়, যেখানে সুপারশপগুলোয় একই আম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। একইভাবে বাইরে লিচু শ’প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হলেও সুপারশপে তা বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায়। এছাড়া বাজারে কাঁঠাল আকারভেদে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আনারস প্রতি হালি ৮০ থেকে ১৫০ টাকায় এবং তরমুজ আকারভেদে ১৮০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া ফিজি আপেল প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৪০, গালা আপেল ১৮০ থেকে ২৭০, সবুজ আপেল ২০০ থেকে ২৫০, আঙুর লাল ৩০০ থেকে ৩৮০, ডালিম প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৮০, পেয়ারা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বন্দরবাজারে ফল কিনতে আসা এহসানুল হক মুন্না জানান, সবেমাত্র মৌসুমি ফল বাজারে উঠেছে। তাই দাম বেশি হলেও তা কিনতে হচ্ছে। এদিকে বাজারে ফলের সমাহারের মাঝেও ক্রেতাদের মধ্যে ফরমালিন আতঙ্ক বিরাজ করছে। এজন্য মধুমাসের ফলের মান নিয়ে শঙ্কায়ও রয়েছেন তারা। বন্দরবাজারে কিছু ক্রেতা জানান, ফল কেনার আগে সেটাতে রাসায়নিক পদার্থ কিংবা ফরমালিন আছে কি না, তা যাচাই করার চেষ্টা করেন তারা। এছাড়া টাটকা কি না, তা-ও যাচাই করা হয়।