রাজশাহী শহরে পদ্মা নদীর অভ্যন্তরে জেগে ওঠা চরের জমি অধিগ্রহণ করে কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের উদ্যোগ বন্ধসহ ৭ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে স্থানীয় পরিবেশবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সোমবার দুপুরে রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুহুল আমিনের হাতে স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করা হয়।
স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন স্বাধীনতা চর্চা কেন্দ্রের আহ্বায়ক চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান, রাজশাহীবাসীর আহ্বায়ক মাহবুব টুংকু, সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন, স্বাধীনতা চর্চা কেন্দ্রের যুগ্মআহ্বায়ক রেজাউল করিম মহব্বত ও তারুণ্যের শক্তির এম এ মালেক। স্মারকলিপি হস্তান্তরের সময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- সমাজসেবক রফিকুল হক সান্টু, রায়হান হালিম, আরিফ ইথার, সৈয়দ আহমেদ বাবলা প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি রাজশাহীর শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীর ১০০ একর জমি অধিগ্রহণের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। তারা শহররক্ষা বাঁধ পেরিয়ে নদীর অভ্যন্তরের নতুন জেগে ওঠা চরে কারা প্রশিক্ষণ একাডেমির কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে যাচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হতে পারে, নাব্যতার পরিবর্তন হয়ে বন্যার মতো দুর্যোগ সৃষ্টি হতে পারে। শহররক্ষা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে জনসাধারণের চলাচলে বিঘেœর সৃষ্টি হবে। এ ছাড়াও পরিববেশগত মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হবে।
এমতাবস্থায় কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অন্যত্র জায়গা নির্ধারণ, ভবিষ্যতে পদ্মা নদীর চরে অবকাঠামো নির্মাণরোধ করা, বাঁধের ওপর ও নদীর অভ্যন্তরের সব স্থাপনা উচ্ছেদ, বাঁধের উপর যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও রাজশাহীবাসীর বিনোদন, শরীর চর্চা ও খেলাধুলার জন্য উন্মুক্ত রাখা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বাঁধসংলগ্ন এলাকায় সবুজ বনায়ন, শতবর্ষী গাছপালা কর্তন রোধ এবং পদ্মানদী ও আশপাশের অংশকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণের দবি জানানো হয়। এর আগে এসব দাবিকে সামনে রেখে রোববার বেলা ১১টায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ঐক্যবদ্ধভাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে স্বাধীনতা চর্চা কেন্দ্র, পরিবেশবাদী সংগঠন রাজশাহীবাসী ও তারুণ্যের শক্তি।