আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

জলাবদ্ধতা নিরসনে ৯ খাল খনন করবে কেসিসি

খুলনা ব্যুরো
| নগর মহানগর

জুনে কনসালটেন্ট নিয়োগ

জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বৃষ্টির পানিতে ডুবে যায়। যানবাহন পথচারী চলাচলে বিলম্ব হয়। একটানা চার দিন বৃষ্টি হলে নগরীর ২৫ শতাংশ এলাকা নিমজ্জিত হয়। জলাবদ্ধতার কবল থেকে নগরীকে রক্ষা করতে কেসিসি ৯টি খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্যোগের অংশ হিসেবে আগামী মাসে কনসালটেন্ট নিয়োগ করা হবে।
খুলনা নগরীর প্রধান সমস্যা বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা। গেল বছরের ১৫ মে অনুষ্ঠিত কেসিসি নির্বাচনে সরকারি ও বিরোধী দলের মেয়র প্রার্থী নির্বাচনি ইশতেহারে জলাবদ্ধতাকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। নির্বাচন শেষে গেল বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিতে নগরীর অধিকাংশ এলাকা ডুবে যাওয়ায় মানুষের শ্রমঘণ্টা নষ্ট ও আর্থিক ক্ষতি হয়। বিশেষ করে ছোট বয়রা, বাস্তুহারা কলোনি, পশ্চিম বানিয়াখামার, টুটপাড়ার দক্ষিণাংশ ও মোল্লাপাড়া, বাগমারা এলাকা ডুবে যায়।
জলাবদ্ধতা নিরসনে কেসিসি ৩০ কোটি ৬৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৭ হাজার ৭৬০ কিলোমিটার খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে। খালগুলো হচ্ছে ক্ষুদে, হরিণটানা, ছড়িছড়া, ক্ষেত্রখালী, নারিকেলবাড়িয়া, তালতলা, লবণচরা ২নং স্লুইচগেট খাল, ময়ূর নদ ও বয়রা নার্সিং ইনিস্টিউট থেকে ময়ূর নদ পর্যন্ত। এসব খালের মধ্যে ময়ূর নদ এক হাজার কিলোমিটার, প্রস্থ ৩০ মিটার ও তালতলা খাল ১৫শ’ কিলোমিটার প্রস্থ ২৫ মিটার, ক্ষুদে ও ছড়িছড়া খাল ৪ হাজার কিলোমিটার করে খনন করা হবে। এসব খালের দুই পাশ ৮১ জন প্রভাবশালী দখল করে বসে আছে। দখল রক্ষায় ময়ূর নদের পার্শ্ববর্তী আরাফাত প্রকল্পের ১৩ জন অধিবাসী হাইকোর্টে রিট করেছেন। উচ্চ আদালত তিনজনের স্বপক্ষে রায় দিয়েছে।
সিটি করপোরেশনের প্ল্যানিং অফিসার আবিরুল জব্বারের কাছে জানতে চাইলে বলেন, কনসালটেন্ট নিয়োগের পর নকশা অনুযায়ী ডিসেম্বর থেকে খাল খনন প্রক্রিয়া শুরু হবে। ২০২৩ সাল নাগাদ খাল খনন কার্যক্রম শেষ হবে।
সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক গত সপ্তাহে দুটি সামাজিক অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন, যে কোনো মূল্যে খাল এবং ময়ূর নদের তীরের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। মার্চ মাসে ময়ূর নদের একাংশে অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করা হয়। বুলডোজার দিয়ে গল্লামারী এলাকা দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন। খাল খনন শেষ হলে বর্ষার পানি দ্রুত নিষ্কাশন হবে।
উল্লেখ্য, মতিয়াখালী থেকে রূপসা নদী পর্যন্ত বদ্ধ খালটির আউটলেট খনন করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৭০ লাখ টাকা।
স্থানীয় সংসদ সদস্য সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উল্লেখ করেন নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনসহ আধুনিক খুলনা গড়তে প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। কেসিসি নির্বাচনের পরেই প্রধানমন্ত্রী বড় অংকের একটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন।