নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করতে গেলে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান- পিআইডি
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ধার করা নেতৃত্ব দিয়ে চলছে। সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাবন্দি এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাজা পেয়ে দেশের বাইরে পলাতক থাকায় সম্প্রতি সরকারবিরোধী বৃহত্তর জোটের নেতৃত্ব দিতে আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। তার ওই বক্তব্যের সূত্র ধরেই মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ধার করা নেতৃত্ব দিয়ে চলছে। গণমাধ্যমে দেখেছি, কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের দায়িত্ব নিতে চান। তিনি বলেন, বিএনপি এর আগেও ধার করা নেতা দিয়ে চলেছে। ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে প্রকৃতপক্ষে বিএনপি জোটের নেতৃত্ব ড. কামাল হোসেনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেটি এখনও বহাল আছে। বিএনপি এখন নতুন করে আবার নেতৃত্ব ভাড়া করবে কি না, সেটি বিএনপিকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রকৃতপক্ষে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের হাতে এখন বিএনপির নেতৃত্ব নেই। তারেক রহমান যাবজ্জীবন শাস্তিপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। দেশের বাইরে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সহজ নয়। সে কারণে বিএনপির বহু সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত ছিল না। বিএনপি রাজনৈতিক দৈন্যদশায় পৌঁছেছে বলেই অন্য দলের নেতারা তাদের (বিএনপি) জন্য ভাড়ায় যেতে ইচ্ছা প্রকাশ করার সাহস পাচ্ছেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নানাবিধ ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের আজকের এ দৈন্যদশা ক্রমাগত ভুলের কারণে। তারা প্রথমত গত নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতায় ছিল। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও করেনি। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর যেভাবে তৎপর থাকার কথা ছিল, তাদের কোনো প্রার্থীর তেমন তৎপরতা ছিলেন না। এছাড়া মনোনয়ন-বাণিজ্য তো আছেই। তবে মনোনয়ন-বাণিজ্য এখানে (ঢাকা) নয়, লন্ডনে হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া আদালত কর্তৃক শাস্তিপ্রাপ্ত। বছরের পর বছর ধরে তার আইনজীবীরা বারবার তারিখ পরিবর্তন করে হ্যারাজ করেছে। মামলার ক্ষেত্রে এত সময় নেওয়ার ঘটনা আগে ঘটেনি। স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়ায় তার বিচার হয়েছে। বিচারের মাধ্যমে তার শাস্তি হয়েছে। আইনকে প্রভাবিত করার সুযোগ নেই।