টার্কি মুরগি পালন করলে তিন মাসের মধ্যে আকর্ষণীয় লাভ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫ শতাধিক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার কাছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ে একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে। টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষুব্ধ খামারিরা বিক্ষোভ মিছিল করে বুধবার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। শতাধিক খামারি টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় সকাল থেকে শহরের শান্তিনগর এলাকায় কোম্পানি অফিসের সামনে সমবেত হয়। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পরও কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক অফিসে আসেনি। কেউ কেউ ফোনে যোগাযোগ করলেও ফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা জানান, ওই কোম্পানি চুক্তি অনুযায়ী মেয়াদ শেষে পালিত টার্কি নিয়ে লাভসহ পুঁজি ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাউকে টাকা না দিয়ে সটকে পড়ার জন্য ২/৩ মাস পরের তারিখ দিয়ে কিছু উদ্যোক্তাকে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক ধরিয়ে দিয়ে গা ঢাকা দেয় গত এপ্রিলে। ক্ষুদ্র খামারিরা প্রদত্ত চেক দিয়ে টাকা তুলতে গিয়ে দেখতে পায় কোম্পানির অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। এ অবস্থায় টার্কি পালনকারী পাঁচ শতাধিক ক্ষুদ্র খামারি বর্তমানে নিঃস্বপ্রায়। এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, জেলার সাধারণ মানুষকে টার্কি মুরগি পালনে আকর্ষণীয় লাভ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন প্যাকেজ বিক্রি করে ওই কোম্পানি। পরে তাদের টার্কি মুরগি দিয়ে নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়। খুব শিগগিরই এ বিষয় খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।