এক নম্বর ওয়ানডে দল, সর্বশেষ ৮৮ ওয়ানডের ৫৮টিতে জয়, টানা ১১টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অপরাজিত ইংল্যান্ড। ৩০ মে ইংল্যান্ডে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপে তাদের ফেভারিট না ভাবার সুযোগ নেই, তবে স্বাগতিকদের বড় চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টের চাপ সামলানো। এর আগে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ইংল্যান্ড আটকে গিয়েছিল সেমিফাইনালেই। চাপ সামলানোর ক্ষেত্রে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান জো রুট শিখতে চান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার কাছে।
এমনিতে বিশ্বকাপটা অস্ট্রেলিয়ার কাছে অন্যরকম, টুর্নামেন্টে তারা পেয়েছে অনেক, গত পাঁচবারের মধ্যে চারবার চ্যাম্পিয়ন! ফেভারিট হিসেবে গেছে, জিতে ফিরেছে বিশ্বকাপ, অস্ট্রেলিয়ার এ দিকটা মুগ্ধ করে রুটকে, ‘অস্ট্রেলিয়ার সবসময় শক্তিশালী স্কোয়াড ছিল। র?্যাংকিং ও স্কোয়াডের শক্তিমত্তায় তারা উঁচুতে থেকে গেছে, এবং চাপের মুহূর্তগুলো জিতেছে। দল হিসেবে তাদের কাছ থেকে শেখার আছে অনেক কিছুই।’
‘বদলে যাওয়া’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা নিয়েও রোমাঞ্চিত রুট। কেপটাউনে বল-টেম্পারিং কেলেঙ্কারির পর থেকে এলোমেলো হয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে যাচ্ছে টানা ৮ ম্যাচ ও দেশের বাইরে টানা ২টি সিরিজ জিতে। স্কোয়াডে ফিরেছেন সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ, সাবেক সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার, দুজনই ছিলেন গতবার শিরোপাজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। রুট জানান, ‘অস্ট্রেলিয়ার দুজন সেরা ক্রিকেটার ফিরেছে, টুর্নামেন্টটা বেশ রোমাঞ্চকর হবে তাদের জন্য। আমরা অস্ট্রেলিয়ার সেরা দলটিকেই হারাতে চাই, এবং তারা দুজন সেরকম দলেরই সদস্য। আমাদের জন্য সময়টা রোমাঞ্চকর, আমাদের বিশেষ কিছু করার সুযোগ আছে।’
অস্ট্রেলিয়ার কাছে এর আগে যা ছিল বেশি নিয়মিত দৃশ্য, এবার ইংল্যান্ডের কাছে সেটাই। স্বাগতিকরা এবার বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট। ২০১৫ বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে বিদায়ের পর এ ফরম্যাটে তাদের উত্থানের গল্পটাও রোমাঞ্চকর। বিশ্বকাপের সময়টা রুট চান উপভোগ করতে, ‘চার বছর ধরে আমরা যে উন্নতি করেছি, আমার মনে হয় যেরকম ভেবেছিলাম তার চেয়ে এগিয়ে আছি। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে এক নম্বর দলের ট্যাগটা পেতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি, সেটা উপভোগ করা দরকার। সেটা থেকে আমরা দারুণ আত্মবিশ্বাস পাই, কী করছি সেটা উপভোগ করতে হবে। ম্যাচে সেটা অনূদিত করতে হবে। সেরা ব্যাপারটা হলো, আমরা আত্মবিশ্বাসী। তবে কেউ আমাদের কিছু হাতে ধরে দেবে না, সে ব্যাপারে আমরা বাস্তববাদী। আমাদের খেলে যেতে হবে। টুর্নামেন্ট জিততে হলে ধারাবাহিকও হতে হবে, ২৫ মে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচের আগে বলেছেন রুট।
২৭ মে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আরেকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড, এরপর ৩০ মে ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ তাদের বিশ্বকাপে।