১০ দিনে খেজুর, ২৫ দিনে ছোলা শেষ
বাজারের চেয়ে দামে বড় পার্থক্য
দুই পণ্যে ক্রেতার ব্যাপক আগ্রহ
১০০ টন খেজুর ১০ দিনেই শেষ। বাজারের চেয়ে কম মূল্য এবং মান ঠিক থাকায় এবার ক্রেতার ব্যাপক চাহিদায় ছিল টিসিবির খেজুর। তাই স্বল্প সময়েই শেষ হয়ে গেছে এ পণ্য। ক্রেতার চাহিদা থাকলেও এখন ডিলারের কাছে ধরনা ধরেও আর খেজুর মিলছে না। আবার বিক্রি শুরুর প্রায় এক মাসের মাথায় শেষ হয়ে গেছে ১ হাজার ৫০০ টন ছোলা। এ পণ্যেও ছিল ক্রেতার ব্যাপক আগ্রহ। গেল ৪ মে থেকে খেজুর বিক্রি শুরু করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। ১৩৫ টাকা কেজি দরে একজন গ্রাহক দিনে কিনতে পারেন সর্বোচ্চ ১ কেজি খেজুর। তবে, এ খেজুর খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। টিসিবির বিক্রি কার্যক্রম শুরুর কয়েক দিন পর খুচরা বাজারে খেজুর বিক্রি শুরু হয়। ট্রাক সেল এবং স্থায়ী বিক্রি কেন্দ্রে খেজুরের বেশ চাহিদা ছিল। প্রতিটি বিক্রি কেন্দ্রেই খেজুরের চাহিদা ছিল প্রচুর।
অন্যদিকে, রোজায় প্রয়োজনীয় পণ্য ছোলার মজুতও শেষ। রোজা উপলক্ষে খোলা বাজারে বিক্রি কার্যক্রম শুরুর দুই দিন পর অর্থাৎ ২৫ মে থেকে শুরু হয় ছোলা বিক্রি। বাজার মূল্যের চেয়ে এ পণ্যের দাম কেজিপ্রতি কম ছিল প্রায় ২০ থেকে ২৫ টাকা। টিসিবির যে ছোলা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়, ওই ছোলা খোলা বাজারের দাম ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে। একজন ভোক্তা এক দিনে সর্বোচ্চ ৪ কেজি করে ছোলা কিনতে পেরেছেন। পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ছোলা এবং খেজুরের জন্য টিসিবির বিক্রি কেন্দ্রে বেশ চাহিদা ছিল।
এছাড়া ৪৭ টাকা কেজি দরে চিনি, ৪৪ টাকা দরে মসুর ডাল এবং ৮৫ টাকা লিটার দরে সয়াবিন তেল বিক্রি করছে টিসিবি। তবে খোলা বাজারে এসব পণ্যের দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেশি। রোজা সামনে রেখে সারা দেশে ১৮৭টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি হয়। রাজধানীর প্রতিটি বিক্রি কেন্দ্রে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ক্রেতারা জানান, রোজা সামনে রেখে হঠাৎ করে পণ্যমূল্য বেড়ে গেছে। এক্ষেত্রে কম দামে পণ্য বিক্রি করছে টিসিবি। মানও মোটামুটি ভালো।
সবগুলো বিক্রি কেন্দ্রে তদারকির ক্ষেত্রে ধীর গতি লক্ষ্য করা যায়। ক্রেতারা বলেন, ট্রাক এবং টিসিবির স্থায়ী ডিলারদের তদারকি করা দরকার। যে স্থানে পণ্য বিক্রি করার কথা, সেখানে পাওয়া যায় না। অনেক সময় পণ্য থাকতেও বলা হয় পণ্য নেই। ডিলারদের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার না হলে সাধারণ ভোক্তারা বিক্রির সুফল পাবেন না। টিসিবি ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জুয়েল আহমেদ বলেন, এবার পণ্যের মান ভালো। কিন্তু চাহিদার তুলনায় কম বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। ফলে বিক্রির ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে দুপুরের পরই পণ্য শেষ হয়ে যাচ্ছে। ক্রেতারা ধরনা ধরলেও আর পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, মনিটরিংয়ের বিষয়ে টিসিবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন বিক্রি কেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে নজরদারি করা হয়। নানা অভিযোগে এরই মধ্যে অনেক ডিলারের পণ্য উত্তোলন স্থগিত করা হয়েছে। পণ্য বরাদ্দের ক্ষেত্রে বলা হয়, প্রতি বছরের মতোই এ বছরও বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। তবে, বরাদ্দকৃত পণ্য যাতে ক্রেতারা পান তা নিশ্চিত করা হবে।